একুশে বইমেলার উদ্বোধনকালে এমপি আবু জাহির ॥ বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করা যায় না
তারিখ: ২৩-ফেব্রুয়ারী-২০২০
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করা যায় না। কারণ ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘ভাষা আন্দোলন’ হচ্ছে পরস্পর পুরিপুরক। ‘আমরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালনের কথা বলি, আসুন, ঠিক একইভাবে ভাষা আন্দোলনের লক্ষ ও চেতনাকে আমরা ছড়িয়ে দেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে।’ মহান শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রাঙ্গনে আয়োজিত বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হবিগঞ্জ, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একুশে ফেব্র“য়ারী আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। একুশে ফেব্র“য়ারী আমাদেরকে অধিকার আদায় করতে শিক্ষা দিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষনা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের মধ্য দিয়ে বের হয়ে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা ও নেতৃত্বেই ৯ মাস যুদ্ধ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হওয়ার কারনেই বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে রাষ্ট্র হিসেবে মাথ উচু করে দাড়িয়েছে। তিনি ছিলেন স্বাধীনতার মুল নায়ক ও মহানায়ক। প্রথম দিনের আলোচনা সভায় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম, আওয়ামীলীগ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল, হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ, সাবেক পিপি এডভোকেট আকবর হোসন জিতু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ হারুনুর রশীদ চৌধুরী, দৈনিক খোয়াই পত্রিকার সম্পাদক শামীম আহসান, নাট্য সংগঠক তোফাজ্জল সোহেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধরণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী প্রমুখ। ‘বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন’ বিষয়ের উপর লিখিত মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন রচয়িতা বৃন্দাবন সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম।

মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান একুশে বই মেলাকে সফল ও স্বার্থক করতে পৌরবাসীর অংশগ্রহন ও সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রধান অতিথি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপিসহ যারা বইমেলা আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, গৌতম কুমার রায়, শেখ নুর হোসেন, মোঃ আব্দুল আউয়াল মজনু, মোঃ আলমগীর, শেখ মোঃ উম্মেদ আলী শামীম ও অর্পনা পাল। সভা উপস্থাপনা করেন শেখ মোঃ উম্মেদ আলী শামীম।

বইমেলার প্রথম দিন মেলা প্রাঙ্গনে বই প্রেমী মানুষের অংশগ্রহন লক্ষ্য করা যায়। সন্ধ্যার পর প্রধান অতিথি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। রাতে হবিগঞ্জের স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। বইমেলায় সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগের বইসহ মুক্তিযোদ্ধের উপর রচিত নানা গ্রন্থ পাওয়া যায়। শনি ও রবিবার একইভাবে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি রাতেই অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।