চুনারুঘাট উপজেলায় করোনা ভাইরাস সন্দেহে গত ৪ দিনে ৩৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনেরমাধ্যমে ঢাকায় আইইডিসিআর ও সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।
চুনারুঘাটে গঠিত মেডিকেল টিম এ নমুনা সংগ্রহ করে পাঠায়। কিন্তু ৪ দিন পরও কোন রিপোর্ট আসেনি। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক রয়েছে। গত রবিবার দ্বিতীয় ধাপে ১০ জন, সোমবার ৮ জন, মঙ্গলবার ৭ জন এবং গতকাল বুধবার আরো ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। প্রথম ১০ জন ঢাকায় এবং পরবর্তীতে সিলেটে মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা শুরু হলে সেখানে পাঠানো হয় বাকীগুলো। কিন্তু ৪দিন ধরেও কোন রিপোর্ট না আসায় রোগী ও তার পরিবারের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আগামী দু একদিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট হাতে পারে বলে ধারনা করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, চুনারুঘাটে এখনও কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। তবে যাদের সর্দি কাশি জ্বর এবং গলা ব্যথা রয়েছে, তাদের মধ্যে সন্দেহ ভাজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য গত ৪দিনে ৩৫ জনের নমুন ঢাকায় আইইডিসিআর ও সিলেটে পাঠানো হয়। এর আগে আরো ৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের সকলের নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু গত ৪দিন ধরে কোন রিপোর্ট না আসার কারণ তিনি জানাতে পারেননি।
এদিকে সোমবার উপজেলার পানছড়ি আশ্রয়ন কেন্দ্রে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শাহনুর মিয়া এবং তার ছেলে ও স্ত্রীসহ ৮ জনের নমুনাও রয়েছে। এ ঘটনায় পানছড়ি আশ্রয়নের ২৪২টি পরিবারকে চলাচল সীমিত করা হয়েছে এবং পানছড়ি বাজারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট না আসায় আশ্রয়ন প্রকল্পের লোকজনের মধ্যেও দেখা দিয়েছে আতংক। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।