কিবরিয়া ব্রীজ এলাকায় টমটম ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষ \ আব্দুর রশীদ হত্যাকান্ডে হাজী নানুকে প্রধান আসামী করে মামলা
তারিখ: ২৮-নভেম্বর-২০২০
স্টাফ রিপোর্টার \

শহরের কিবরিয়া ব্রীজ এলাকায় টমটম স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষে আব্দুর রশীদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভাই মুখলিছ মিয়া বাদি হয়ে ৩৬  জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় আসামীরা হল, হাজী নানু মিয়া, মুক্তার হোসেন, আবুল কাশেম, মধু মিয়া, শ্রাবন আহমেদ, ফরহাদ হোসেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, কিবরিয়া ব্রীজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব জায়গায় অবস্থিত টমটম স্ট্যান্ড থেকে টঙ্গীরঘাট পর্যন্ত চলাচল করতো টমটম। আর এই স্ট্যান্ডটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছেন নিহত রশিদের চাচাতো ভাই আব্দুল মতিন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে নতুন খোয়াই মুখ এলাকায় অবস্থিত টমটম স্ট্যান্ডের দখল করতে যায় উমেদনগর আলগা বাড়ির হাজী নানু মিয়া ও তার লোকজন। এ সময় তারা ওই স্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় প্রতিহত করতে গেলে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধেঁ। খবর পেয়ে নিহত আব্দুর রশিদ ঘটনা থামাতে এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের আসামিরা তার উপরও হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আব্দুর রশিদ টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান। পরের দিন বুধবার জানাজার নামাজ শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান আসামি লুৎফুর রহমান নানু মিয়া টমটম স্ট্যান্ডটি তার নিয়ন্ত্রণে নিতে অন্যান্য আসামিদের দিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে। যারা বিভিন্ন সময় সড়কে চলাচলরত টমটম চালকদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করতো। কিন্তু নিহত আব্দুর রশিদের চাচাতো ভাই আব্দুল মতিনের দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে আসামি হাজী নানু তার অসৎ উদ্দেশ্য সফলে ব্যর্থ হয়েই এ হামলা চালায়। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে উমেদনগর আলগা বাড়ির নিমরাজ মিয়ার পুত্র রিয়াজ হাসান, আরব আলীর পুত্র মিতু মিয়াসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ কারাগারে প্রেরণ করে। এ হত্যা মামলায় তাদেরকেও আসামি করা হয়েছে।

প্রথম পাতা