মিরপুরে আদালত ও প্রশাসনের প্রতি প্রভাবশালী দখলদারের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন \ উদ্ধার হচ্ছে না নিরীহ ইজারা গ্রহীতার ভূমি
তারিখ: ২০-এপ্রিল-২০২১
স্টাফ রিপোর্টার \

বাহুবল উপজেলার মিরপুরে আদালতের আদেশ ও প্রশাসনের নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে প্রভাবশালী দখলদার। শুধু তাই নয়, নিরীহ ইজারা গ্রহীতাকে প্রতিনিয়ত দেয়া হচ্ছে হুমকি-ধমকি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা। এ অবস্থায় অনাকাঙ্খিত-অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতনমহল।

জানা যায়, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের রুপশংকর মৌজার জে.এল নং- ১১৬, সাবেক এস.এ খতিয়ান নং- ৩১৩, সাবেক এস.এ দাগ নং- ৬৭০, ৬৭১, ৬৭২ ও ৬৭৩ এর ১ একর ৩১ শতক ছারাবাড়ি, পুকুরপাড় ও চারা রকম ভূমির বৈধ ইজারাদার কচুয়াদি গ্রামের মুন্সি আমীর উদ্দিনের পুত্র জালাল উদ্দিন। দীর্ঘদিন ধরে ওই ভূমি অবৈধভাবে ভোগদখল করে আসছে কামার গাও গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র আলা মিয়া গং। এ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগনের উপস্থিতিতে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়। প্রতিবারই শালিসের রায় অমান্য করে আলা মিয়া ও তার লোকজন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের হয়। পরে সকল মামলার রায় বৈধ ইজারা গ্রহীতা জালাল উদ্দিনের পক্ষে আসে। আদালতের রায়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে বৈধ ইজারা গ্রহীতার অনুকুলে দখল ফিরিয়ে দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী গত ২৫ ফেব্রæয়ারি বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ¯িœগ্ধা তালুকদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় অবৈধ দখলদাররা বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ৭ দিনের সময় প্রার্থনা করে। কর্মকর্তারা তখন অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ৭ দিনের সময় দেন। ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বৈধ ইজারা গ্রহীতা জালাল উদ্দিন দখল ফেরত চাইলে হুমকি-ধামকি শুরু করে অবৈধ দখলদাররা। প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও দখল ফিরে পাচ্ছেন না জালাল উদ্দিন। তিনি এখন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও উত্তেজনা। সচেতন মহল মনে করেন, এ নিয়ে এলাকায় যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত-অপ্রীতিকর ঘটনা। 

ইজারা গ্রহীতা জালাল উদ্দিন অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বর্তমানে তাকে না-না ভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পাশাপাশি তিনি এখন শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রশাসন ও সচেতন মহলের সহযোগীতা কামনা করছেন তিনি।

প্রথম পাতা