হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন \ প্রতারকের কবল থেকে অলিখিত স্ট্যাম্প ও চেক উদ্ধারের দাবি
তারিখ: ২২-অক্টোবর-২০২১
স্টাফ রিপোর্টার \

 হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতিরথান গ্রামে ব্যাংক লোন নিয়ে সিএনজি ক্রয় করে দেয়ার নাম করে কৌশলে এক টমটম চালকের কাছ থেকে দুইটি অলিখিত স্ট্যাম্পে সাক্ষর ও ৮টি চেক নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও চেক উদ্ধারে প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী টমটম চালক কামাল মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ প্রেসক্লাকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কামাল মিয়া উল্লেখ করেন, তিনি একজন টমটম চালক। প্রতিদিন গাড়ি চালানোর পর রাতে তিনি পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাচ্চু মিয়ার গ্যারেজে টমটম চার্জ করেন। এ সুবাদে বাচ্চু মিয়া তাকে বলে কিছু ব্যাংক চেক দিলে সে হবিগঞ্জ সোনালী ব্যাংক থেকে লোন উঠিয়ে কামাল মিয়াকে সিএনজি কিনে দিবে। বাচ্চু মিয়ার কথায় কামালের পিতাও রাজি হয়ে যান। একপর্যায়ে বাচ্চু মিয়াকে ব্যাংক লোনের জন্য অলিখিত সাক্ষরযুক্ত ৮টি চেক ও অলিখিত সাক্ষরযুক্ত ২টি স্ট্যাম্প প্রদান করেন। পরে বাচ্চু মিয়ার সাথে লোন উত্তোলনের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কিছু দিনের মধ্যে হয়ে যাবে বলে সে তাদের জানায়। এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর কামাল ও তার পিতা আব্দুল মজিদ বাচ্চু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে সে রাগান্বিত হয়ে বলে বার বার তাগিদ দিলে আমি লোন উঠিয়ে দিতে পারব না। তখন আব্দুল মজিদ বাচ্চু মিয়াকে লোন উঠিয়ে দিতে না পারলে তাদের দেয়া চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দিতে বলেন। তখন বাচ্চু মিয়া আব্দুল মজিদকে গালাগাল করে বলে ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে ফেলব’। এ পরিস্থিতিতে কামাল মিয়া ও তার পরিবার ময়মুরুব্বীদের শরনাপন্ন হয়ে কোন সদুত্তর না পেয়ে পইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ, লস্করপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরু, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ আলীর কাছে বিচার প্রার্থী হলে তারাও দীর্ঘ চেষ্টা করেন। কিন্তু চেয়ারম্যানগণের ডাকে বাচ্চু মিয়া আজ যাবে কাল যাবে বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এ অবস্থায় কামাল মিয়া ও তার পরিবার মহা সংকটের মধ্যে আছেন। তারা সুবিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমল- ১ আদালতে চেক ও স্ট্যাম্পের বর্ণনা দিয়ে মামলা দায়ের করেন।  এ সংবাদ পেয়ে বাচ্চু মিয়া আব্দুল মজিদ ও আছিয়া খাতুনের নামে ২টি চেক ডিজঅনার করিয়ে একটি চেকে ৫ লাখ ও অপর একটি চেকে ৮ লাখ টাকা উল্লেখ করে ২ জনের নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে। এ অবস্থায় কামাল মিয়া পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। কামাল মিয়া ও তার পরিবার বাচ্চু মিয়ার প্রতারণার শিকার হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বাচ্চু মিয়াকে দেয়া অলিখিত সাক্ষরযুক্ত ৮টি চেক ও অলিখিত সাক্ষরযুক্ত ২টি স্ট্যাম্প উদ্ধারে সাংবাদিকসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রথম পাতা