হবিগঞ্জে কনস্টেবল পদে পরিচ্ছন্ন নিয়োগের অঙ্গিকার করেছেন জেলা সুপার এস.এম মুরাদ আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘একটি প্রতারক চক্র কনস্টেবল নিয়োগের কথা বলে প্রায়ই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই। এবার সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেয়া হবে। অহেতুক দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমার পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, ডিসট্রিক্ট ইন্টিলিজেন্স অফিসার (ডি.আই.ও) সৈয়দুল মোস্তফা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি মো. আল আমীন, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. নাজমুল হক কামাল, জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. হোসেনুজ্জামান। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাসুদ আলী ফরহাদ, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শাকিল চৌধুরী, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রদীপ দাশ সাগর, সফিকুল আলম চৌধুরী প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘স্ষ্ঠুু ও শান্তিপূর্ণ ইউপি নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি রয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসনের। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এজন্য সাংবাদিকদের সর্বাত্বক সহযোগিতা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। সবধরণের অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।’ এছাড়াও তিনি পেশাদার জুয়ারীদের তথ্য দিতে সাংবাদিকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।জানা যায়, গত ১১ জুলাই রবিবার বিকেলে পুকুরের সীমানা নিয়ে দু’পক্ষের সালিশি মিমাংসার পর নির্মমভাবে খুন হন প্রবাসী শাহ ফয়সল। পরে এই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শাহ ফারহান বাদী হয়ে বাহুবল থানায় মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন, মিরেরপাড়া গ্রামের খুর্শেদ আলী (৬৫) ও তার দুই ছেলে মুশাহিদ (৩৫), মোতাহির (৩০), তার ভাই আপ্তাব উদ্দিন (৬০) তার ভাতিজা নোমান (২৮), আপ্তাব উদ্দিনের মেয়ের জামাই আখতার হোসেন (৩০) সহ আরো ২ জন।
এছাড়াও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি যোগদান করার পরদিন ই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসেন এবং নিহতের পরিবারকে আসামিদের দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন। তাই নিহতের পরিবার সুবিচারের জন্য এখন প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন। এলাকাবাসিও আসামীদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবী জানান।