করোনায় কাবু হবিগঞ্জ আদালত আক্রান্ত ১০ বিচারক \ নেই স্বাস্থ্যবিধি \ হবিগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১৬ ছাত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ছুটি ঘোষনা
তারিখ: ২৪-জানুয়ারী-২০২২
স্টাফ রিপোর্টার \

হবিগঞ্জ আদালতের ১০ বিচারক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হবিগঞ্জ জেলার বিচার বিভাগে মোট ২৮ জন বিচারক দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ১০ জনই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েক দিনে তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
আক্রান্ত বিচারকদের মধ্যে রয়েছেন ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিরাজাম মুনীরা, সিনিয়র সহকারী জজ তানিয়া ইসলাম, সহকারী জজ অভিজিৎ চৌধুরী, সাজিদ-উল-হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল হামিদ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধান ও মো. জাকির হোসাইন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম, রাহেলা পারভীন ও তাহমিনা হক। আক্রান্ত বিচারকরা
 বর্তমানে নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে প্রায় অর্ধেক বিচারক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বিঘিœত হচ্ছে জেলার বিচারকাজ। শুধু বিচারকই নন, অনেক আইনজীবী আইনজীবীর সহকারীসহ আদালতের কাজে নিয়োজিত আরও অনেকেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ১০ বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হলেও হবিগঞ্জ আদালত পাড়ায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ বিচারপ্রার্থীর মুখে নেই মাস্ক। বহুতল ভবনের প্রতিটি ফ্লোরের বারান্দায় বিচারপ্রার্থীদের ভিড়। একে অপরের শরীর ঘেঁষে জটলা পাকিয়ে আছেন তারা। এ অবস্থায় ওই আদালত পাড়া থেকেই করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘১০ জন বিচারক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন জানতে পেরেছি। তাই আদালত পাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কোর্ট পুলিশ কাজ করছে।’
এদিকে, হবিগঞ্জ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ১৬ ছাত্রী ও ১ শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারনে ওই ইনস্টিটিউট বন্ধ করে সকল ছাত্রীকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্স ট্রেনিং ইনচার্জ কল্পনা রানী ঘরামী জানান, হবিগঞ্জ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১৯০ জন ছাত্রী রয়েছে। ছাত্রীদের জ্বর ও সর্দি বৃদ্ধি পেলে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মাঝে ১৬ জনের ফলাফল পজিটিভ হয়। তকমিনা বেগম নামে এক শিক্ষকের নমুনাও পজিটিভ হয়।
তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে ইনস্টিটিউট বন্ধ করে শনিবার সকল ছাত্রীকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে।

প্রথম পাতা