কাকাইলছেওয়ে হিন্দুর জায়গা দখলে বাঁধা দেয়ায় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট
তারিখ: ৯-ডিসেম্বর-২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

 আজমিরীগঞ্জের  কাকাইলছেও বাজারে হিন্দুদের জায়গা দখলে বাধা দেওয়ায় বিএনপি নেতা আল কুরআন সওদাগর ও তার ভাই যুবদল নেতা কুহিন সওদাগরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পরে কাকাইলছেও বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে?  দুর্বৃত্তরা হামলা, লুট ও ভাংচুর করে ২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে  কেন্দ্র করে পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে?  এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে  জানাযায়, কাকাইছেও বাজারের পাশ্ববর্তী কোনাবাড়ি হাটির আওয়ামীলীগের দোসর হান্নান মিয়া, হুমায়ুন, বাবলু, ইব্রাহীম, আপেল, হাবিবুর, হেকিম, মন্টু মিয়া, ও বাশারের নেতৃত্ব একটি ভূমিদস্যু চক্র কয়েকদিন পূর্বে কাকাইলছেও বাজারের পাশ্ববর্তী  এক হিন্দু ব্যক্তির জায়গা দখল করেন। এতে বাঁধা দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আল কোরআন সওদাগর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমিদস্যু চক্রটি আল কুরআন সওদাগরের পরিবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপ্রীতিকর ও মানহানিকর স্ট্যাটাস দেয়।  গতকাল  সোমবার সন্ধ্যার দিকে আল কোরআন সওদাগর এ ব্যাপারে হুমায়ূন ও হান্নান গংদেরকে এর প্রতিবাদ করলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হুমায়ুন গংরা। এরই জেড় ধরে ওই চক্রটি  কাকাইলছেও বাজারের সওদাগর মার্কেটের আল কোরআন সওদাগর ও তার ভাইদের উপর হামলা করে। এসময়  তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আল কোরআন সওদাগরের আরিয়ান  কমিনউনিকেশন ও তার ছোট ভাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক কুহিন সওদাগরের মেসার্স সওদাগর ট্রেডার্সে হামলা ও লুটপাট চালায়। এসময় আল কুরআন সওদাগর ও তার বড় ভাই ফয়জুর রহমান সওদাগরসহ ১০/১৫ জনকে পিঠিয়ে আহত করে।  আহত আল কুরআন সওদাগর অভিযোগ করেন, দুর্বৃত্তরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩০ লাখ টাকার স্মার্ট মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় এবং আরো প্রায় ১৫ লাখ টাকার  ফ্রীজসহ ইলেকট্রনিক মালামাল ভাংচুর ও লুট করে নিয়ে যায়। একইসাথে তার ভাইর রডে সিমেন্টের দোকান থেকে নগদ টাকা সহ আরো ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট ও ভাংচুর করে? তার দোকানের সিসি ক্যামেরায় মোবাইল লুটপাটের ফুটেজটি ইতিমধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে? এঘটনার পরপরই দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  সংঘর্ষে দুপক্ষের ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ( তদন্ত) বিশ্বজিত পালের নেতৃত্ব পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় রাতেই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলছে বলে জানা গেছে।

প্রথম পাতা