স্টাফ রিপোর্টার ॥
লাখাইয়ে ধলেশ্বরীর খাঞ্জা বিল দখল নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুপুর ১ টার দিকে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানান, ধলেশ্বরী খাঞ্জা বিলের দখল নিয়ে শিবপুর গ্রামের জনকল্যাণ সমবায় সমিতি ও সন্তোষপুর আনন্দময়ী মৎস্যজীবী সমিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শিবপুরের হারিছ মিয়া জনকল্যাণ সমবায় সমিতির এবং স্বজন গ্রামের আনন্দময়ী মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রুপম। সোমবার উভয়পক্ষ বিলটি দখল নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। দুই পক্ষের মধ্যে এর আগেও তিনবার সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়ে হারিছ মিয়া বলেন- ধলেশ্বরী খাঞ্জা বিলটি আমিসহ আমাদের লোকজন সরকারের কাছ থেকে বৈধভাবে লিজ এনে মাছ শিকার করে আসছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের লোকজন বার বার অবৈধভাবে জোরপুর্বক দখল করতে চাচ্ছে। সোমবারও তারা আমাদের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে আহত করেছে। যদিও পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
অপর একটি সূত্র জানায়, খাঞ্জা বিল দখল নিয়ে এ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৪ বার সংঘর্ষ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রূপম ও হারিছ মিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারন করেছে। যেকোন সময় খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এতে এলাকার সচেতনবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রুপম-এর পক্ষের হারুণ মিয়া বলেন- ধলেশ্বরী খাঞ্জা বিলটি আমাদের মৎস্যজীবিদের নামে লীজ রয়েছে। তাই আমরা বিলটি থেকে মাছ আহরণ করে আসছি। কিন্তু হারিছ মিয়াসহ তাদের লোকজন প্রভাব বিস্তার করে মাছ শিকার করতে চায়। তারা আমাদের উপর হামলা করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
লাখাই থানার ওসি তদন্ত কৃষ্ণ চন্দ্র মিশ্র বলেন, ধলেশ্বরী খাঞ্জা বিল নিয়ে দুটি সমিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে আজ দুপুরে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী সংঘর্ষ থামায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগেও বিল নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে।