পইলে স্ত্রী হত্যার ঘটনায় স্বামী জুয়েলের স্বীকারোক্তি ॥ লক্ষীপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে যেতে বাধা দেয়ায় ফাহিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করি
তারিখ: ১০-অগাস্ট-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে স্ত্রী হত্যা মামলায় আটক জুয়েল মিয়া (৩০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে এ জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পলাশ চন্দ্র দাস জানান, সে জবানবন্দিতে উল্লেখ করে প্রায়ই তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হত। এক পর্যায়ে সে অতিষ্ঠ হয়ে লক্ষীপুর জেলায় গিয়ে জুসনা নামে এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এবং সেখানে টমটম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এরপরও প্রায় ফোনে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। এক পর্যায়ে সে তার প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। হত্যার করার এক সপ্তাহ আগে সে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেও তার শান্তি ছিল না। প্রতিদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হত। গত ৪ই আগস্ট স্বামী স্ত্রী এক সাথে থাকার পর ফজরের আযানের সময় লক্ষীপুর যেতে রওয়ানা হলে তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলার উড়না দিয়ে গলায় ফাস দিয়ে শ^াসরোদ্ধ করে হত্যা করে লাশটি ডুবায় ফেলে যায়। সে হবিগঞ্জ ত্যাগ করে ফোনে তার বাড়ির অভিভাবকদেরকে জানায় ফাহিমাকে সে হত্যা করেছে। সে একাই হত্যা করেছে তার সাথে আর কেউ ছিল না। জবানবন্দি শেষে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ৪ বছর আগে এড়ালিয়া গ্রামের ফাহিমা আক্তারকে পইল উত্তর পাড়া গ্রামে মঞ্জব আলীর পুত্র জুয়েলের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর গত ৪ই আগস্ট ফাহিমার লাশ পইলের একটি ডুবা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ফাহিমা আক্তারের ভাই আমির উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর জুয়েল আত্মগোপনে চলে যায়। গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে সদর থানার এসআই শাহিদ মিয়া ও পলাশ চন্দ্র দাস গত সোমবার লক্ষীপুর জেলা সদরে অভিযান চালিয়ে দ্বিতীয় শ^শুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

প্রথম পাতা