বন্যার পানিতে পোনা মাছ শিকারের ধুম \ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী
তারিখ: ২৩-জুন-২০২২
স্টাফ রিপোর্টার \

বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের হাওরে পানি বেড়ে বন্যায় রুপ নিয়েছে। হাওড় এলাকা ছাড়াও পাহাড়ি এলাকার ছড়া, লেক ও গ্রামের খাল ও ডোবায় পর্যন্ত পানি রয়েছে। এ মিঠাপানিতে প্রচুর দেশিয় মাছ রয়েছে। এ অবস্থায় মাছ শিকারের ধুম পড়েছে হাওরসহ নানা স্থানে। বৃষ্টির সঙ্গে মাছ শিকারের সম্পর্ক অনেক দিনের। তাই বৃষ্টি এলে মাছ বেশি পরিমাণে শিকার হচ্ছে। জেলে, দিনমজুর, সৌখিন মৎস্য মানুষজন জালসহ নানা উপকরণ নিয়ে তাই পুরোদমে নেমে পড়েছেন মাছ শিকারে। খালবিল ও হাওরে ধরা পরছে প্রচুর পরিমাণে দেশি মাছ। এ মাছ নিজেদের চাহিদা পূরণের পর বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রি করে অনেকেই প্রচুর টাকা আয় করছেন। তবে অনেকেই আবার ছোট ছোট এসব মাছ ধরা বন্ধে প্রশাসনের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। জানা গেছে, জেলার বাহুবল, নবীগঞ্জ, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার অধিকাংশই হাওর এলাকা। বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে হাওড়, ডোবা, খাল, বিল, পুকুর পানিতে থৈ থৈ করছে। এ পানিতে মাছ শিকারের আনন্দই আলাদা।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা এলাকার বাসিন্দা ইয়াকুত মিয়া বলেন, ‘বৃষ্টি শুরু হলেই জাল নিয়ে হাওড়ে মাছ শিকার করি। বৃষ্টি ছাড়া মাছ শিকারের মজা নেই। বৃষ্টি এলেই জালের প্রতি টানে মাছ পাওয়া যায়। প্রাকৃতিকভাবেই হাওড়ের পানিতে নানা প্রজাতির দেশি প্রজাতির মাছ জন্মায়। পানি বাড়ার সঙ্গে বাড়ে মাছের প্রজনন। ফলে হাওড়ে হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে মাছ শিকার করে। এছাড়া মাছ বিক্রি করে আসা টাকা থেকে অনেকেই নিত্যপণ্য ক্রয় করছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘হাওরে এখন আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। তবে বৃষ্টি ও উজানের পানির কারণে বর্তমানে নানা প্রজাতির দেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মাছ পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন মৎস্য শিকারিরা।’ হাওরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জলাশয়ের স্থানে স্থানে নানা উপকরণ নিয়ে মৎস্য শিকারীরা মাছ শিকার করতে ব্যস্ত। এছাড়াও শহরতলীর কালাডুবা এলাকায় ছোট ছোট পোনা ধরতে দেখা গেছে মৌসুমী শিকারীদের।