নবীগঞ্জে পশু কর্মকর্তা সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুনীতির অভিযোগ
তারিখ: ২৩-এপ্রিল-২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার \

নবীগঞ্জ উপজেলা সরকারি পশু-হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না পাওয়া ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা আর অনিয়ম প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ খামারীরা।
এদিকে, এ ঘটনায় গতকাল সোমবার  দুপুরে নবীগঞ্জ  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নবীগঞ্জের রেজিস্ট্রেশনকৃত সচেতন  ও প্রান্তিক কৃষকদের পক্ষে ৩৯ জন খামারীরা।
তারা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, নবীগঞ্জ উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাইফুর রহমান খামারীদের বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত রেখেছেন। খামারিরা হাতপাতালে সরকারি ঔষুধের জন্য গেলে ডাঃ মোঃ সাইফুর রহমান তাদের বলেন কাকে দেবো, না দেবো এটা আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। উপ-সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (ঔষধ) মোঃ মিজানুর রহমান এর কাছে ঔষধ চাইতে গেলে তিনি বলেন, খামারিদের মাঝে ঔষধ বিতরণ করে দিয়েছি। পরে দেখা যায়  সরকারি ঔষধ দিয়ে অসহায় মানুষের গরুর চিকিৎসা করেন টাকার বিনিময়ে। শুধু তাই নয় টাকার বিনিময়ে ভ্যাটেনারী মেডিসিনের দোকানে তিনি সরকারি ঔষধগুলো বিক্রি করেন বলে অভিযোগ  করা হয়। হাসপাতালে গেলে মিলছে না ডাক্তার বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মকর্তা দ্বারা চিকিৎসা সেবা। প্রতিদিন টাকার বিনিময়ে হাসপাতাল ও হাসপাতালের বাহিরে অদক্ষ আলতাফ মিয়া (রিটায়ার্ড ড্রেসার), পিয়ন সেলিম মিয়া, ডাঃ সাইফুর রহমানের গাড়ির ড্রাইভার ও লাইভস্টক ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট আলামিনের দ্ধারা গাভীর ক্রিটিক্যাল ডেলিভারি ও ভ্যাকসিনেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবা সম্পূর্ণ করা হয়। নবীগঞ্জ সরকারি পশু-হাসপাতালের কৃত্রিম প্রজননের বীজের অকার্যকারীতার কারণে রেজিট্রেশনকৃত খামারী ও প্রান্তিক কৃষকরা বেশী টাকা খরচ করে অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে গাভীকে কৃত্রিম প্রজননের বীজ দিয়ে দিন দিন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। দুগ্ধবতী গাভীর জন্য ও ষাঁড় মোটাতাজাকরণে সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত পশু খাদ্যের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডাঃ সাইফুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ  মিথ্যা। কি কারনে খামারিরা অভিযোগ করছেন তা তিনি জানেন না এবং এসব কর্মকাÐের সাথে তিনি তার হাসপাতালে  কেউ জড়িত নয়।

প্রথম পাতা