নবীগঞ্জে নির্বাচনের দিন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আশিক মিয়ার কর্মী সমর্থকদের সাথে বিজিপি ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর হামলায় ৮টি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলায় নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আশিক মিয়াকে প্রধান আসামী করে মোট ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে শনিবার নবীগঞ্জে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন নির্বাচনের দিন সন্ধ্যার পর উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নের বাগাউড়া জালালিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র থেকে ভোট গননা শেষে ব্যলট বাক্সসহ সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার, বিজিবি পুলিশের পাহারায় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কন্টোল রুমে নিয়ে যাওয়ার সময় বাগাউড়া গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার আব্দুল হামিদ বাগাউড়া জামে মসজিদের মাইকে জানায় বিজিবি পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা আশিক মিয়া চেয়ারম্যানের ভোটের ব্যলট বাক্স ভোট গননা না করেই ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এ খবর শুনা মাত্রই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আশিক মিয়ার ভাতিজা আবু বক্কর ও ছাত্রদল নেতা কাশেম মিয়ার নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক কাজির বাজারে রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যালট বাক্স বহনকারী পুলিশ ও বিজিবির বহরে থাকা ৮টি গাড়ি আটক করে ব্যালট বাক্স আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বিজিবি বাধা দিলে তাদের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার ফলে পুলিশ বিজিবি আত্মরক্ষার্থে প্রায় ২৯ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ সময় ৩ বিজিবি ২পুলিশ সদস্য ও হামলাকারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়। এ সময় হামলাকারীদের ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে সরকারী কাজের ব্যবহৃত ৮টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার এস আই চাঁন মিয়া বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আশিক মিয়াকে প্রধান আসামী করে আরো ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩শ জন লোকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার এস আই নজরুল ইসলাম গত ১৪ জুলাই নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আশিক মিয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করে আরো ৫৪জনের নাম উল্লেখ করে হবিগঞ্জ আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন।