বানিয়াচং সড়কে যাত্রীবাহি জীপ উল্টে ইউপি মেম্বারসহ নিহত ২ আহত ২০
তারিখ: ২০-জুন-২০১৭
আজিজুল ইসলাম সজিব/ইমদাদুল হোসেন খান ॥

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে যাত্রীবাহি জীপ উল্টে খাদে পড়ে ২ জন নিহত ও অন্তপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। নিহতরা হলেন আজমিরীগঞ্জের নোয়াগড় গ্রামের হাফিজ উল্লা (৬০) ও বানিয়াচংয়ের তকবাজখানী গ্রামের আমীর হোসেন (৬৫)। নিহত হাফিজ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার। গতকাল বিকাল ৬টার দিকে সড়কের ভাটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বানিয়াচং সদরের চতুরঙ্গরায়েরপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা জাবেদ আহমেদের চাচা মোঃ মোবারক ও আদমখানী লস্করবাড়ীর ছাত্রদল নেতা জহির লস্করের বোন জাহেদা সুলতানা আহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেলেও অন্যান্য আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। গাড়িটি দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার পর সড়কে যাতায়াতকারী বিভিন্ন যানবাহনের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে বানিয়াচং ও হবিগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ ও বানিয়াচং থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এছাড়া বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ ও বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাড়িটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা যায়। পানিতে ডুবে থাকা গাড়ির ভেতর আরো যাত্রী আটকে থাকতে পারে বলে লোকজন আশংকা করছেন। আহত যাত্রী সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটিতে থাকা একটি শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ থেকে বানিয়াচং আসার পথে উল্লেখিত স্থানে পৌঁছামাত্র গাড়ির সামনের একটি চাকা খুলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হয়। এসময় চালক লাফ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। গাড়িতে ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী ছিল বলেও আহতরা জানান। গাড়িটির মালিক বানিয়াচং সদরের বাদাউড়ি গ্রামের আব্দুল মতিন এবং চালক তার ছেলে মোশাররফ বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এদিকে নিহত আমীর হোসেন ও হাফিজ মেম্বারের মৃত্যুর খবরটি তাদের বাড়ীতে পৌঁছলে পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কটি যেন মৃত্যুপুিড়তে পরিণত হয়েছে। ফিটনেস বিহিন গাড়ি ও অদক্ষ চালকদের কারণে প্রায়ই এ সড়কে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এ মৃত্যুর মিছিল থামানো যাবেনা বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।

প্রথম পাতা