আজমিরীগঞ্জে প্রিন্টিং পরচা বন্টনে নানা অনিয়মের অভিযোগ ॥ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী চক্র
তারিখ: ১১-ফেব্রুয়ারী-২০১৯
আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

আজমিরীগঞ্জে জায়গা সংক্রান্ত প্রিন্টিং পরচা বিলি বন্টনে নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এটিকে পূঁজি করে লাখ লাখ টাকা হাতিযে নিচ্ছে এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র। জানা যায়, গত ২০১৮ সনের ডিসেম্বর মাসের প্রমদিকে সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মচারী কর্তৃক উপজেলা পরিষদের একটি কক্ষ থেকে আজমিরীগঞ্জ মৌজার জায়গা সংক্রান্ত প্রিন্টিং পরচা বিলি বন্টনের কাজ শুরু করা হয়। ওই সময় প্রতিটি প্রিন্টিং পরচা নিতে একই জায়গার মাঠ পরচার ফটোকপি জমা দিতে হয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ অর্থাৎ প্রতিটি প্রিন্টিং পরচার বিনিময়ে নগদ ২'শ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মচারীরা।  এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সময় প্রিন্টিং পরচা অনুমানিক ৩ সপ্তাহব্যাপী বন্টন করে তারা সিলেটে চলে যান। দীর্ঘ একমাস পর অর্থাৎ জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি আজমিরীগঞ্জ মৌজার অবিলিকৃত সহ পৌর এলাকার শানবাড়ি ও কাকাইলছেও মৌজার প্রিন্টিং পরচা বিলি বন্টনের জন্য সেটেলমেন্টের বিভাগীয় অফিস সিলেট থেকে নিয়ে আসে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা। কিন্তু তারা বিলি বন্টন না করে গুরুত্বপূর্ণ ওই সব প্রিন্টিং পরচা তুলে দেন এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্রের হাতে। ওই চক্রের লোকজন প্রথমদিকে কাকাইলছেও ও পৌর এলাকার বাসিন্দাদের নিকট থেকে প্রতিটি প্রিন্টিং পরচা বাবদ ১'শ ২০ টাকা নেয়। কিছুদিন বিলি বন্টনের পর সম্প্রতি প্রতিটি প্রিন্টিং পরচা বাবদ ৪'শ টাকা হাতিযে নিচ্ছে বলে ওই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া নগদ অর্থের বিনিময়ে একজনের প্রিন্টিং  পরচা অন্যজনকে দিয়ে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। নিয়মানুযায়ী এলাকাবাসীর ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীদের নির্ধারিত ফি'র বিনিময়ে সঠিক মালিকের নিকট বিলি-বন্টনের কথা। কিন্তু ভূমির ওই সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরকারি দপ্তর থেকে এলাকার একটি চক্রের হাতে চলে যাওয়ায় সেবার মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে পরচার বিনিময়ে ওই চক্রটি এলাকাবাসীর নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে নিজ মালিকাধীন ভূমির পরচা হাতে না পেয়ে নানা ধরণের হয়রানি ও ভূগান্তিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার ভুক্তভোগীরা।

প্রথম পাতা