লাখাইয়ে হোটেল রেস্তোরায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জমজমাট ব্যবসা
তারিখ: ১০-অক্টোবর-২০১৯
রফিকুল ইসলাম, লাখাই ॥

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে  মিষ্টির দোকানসহ বেকারী ও খাবারের হোটেল গুলোতে নোংরা পরিবেশে জমজমাট ব্যবসা করছে। মিষ্টির দোকান গুলিতে বাসি ও পচা মিষ্টি বিক্রি করছে পাশাপাশি খাবারের হোটেল গুলোতে বাসি, পচা খাবার বিক্রি করছে। যাহা দেখার বা বলার কেউ নেই। ক্রেতা সাধারণ জানান, লাখাই উপজেলায় বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে ২/৩ দিনের পচা মিষ্টি নতুন করে বানিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। তারা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিতে নিম্ন মানের ময়দা এবং পাউডার ও ক্যামিক্যাল রং মিশিয়ে মিষ্ট তৈরী করে বাজারে বিক্রি করছে। যাহা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

উক্ত মিষ্টির দোকানের মিষ্টি কারখানা গুলোতে ঢুকেেল চোখে পড়বে নোংরা পরিবেশে মিষ্টির দোকান মালিকেরা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈয়ার করছে। উক্ত মিষ্টির কারখানার মধ্যে সর্বক্ষণ মাছি, তেলাপোকা হাটাহাটি করছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা মিষ্টি সংরক্ষণ করছে। হোটেল গুলোতে পচা বাসি খাবার বিক্রি করছে। ২/৩ দিনের তরকারী ও মাছ, মাংশ ফের নতুন করে আগুনে জ্বালিয়ে গরম করে বিক্রি করছে। হোটেল গুলোর পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা। হোটেল গুলোর পিছনে রান্না ঘরে ঢুকলে চোখে পড়বে কি ভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষ খাবার তৈয়ার করছে। কোন কোন খাবারে মাছি ও তেলাপোকা বসে উক্ত খাবারের মধ্যে পায়খানা করছে এবং বিড়াল প্রতিনিয়ত দোকানের মধ্যে আনা গোনা করছে। থালা, প্লেট, গ্লাস গুলোতে বিড়ালে চাটাচাটি করছে। হোটেল কর্মচারীরা আবার কোন কোন থালা, প্লেট, গ্লাস, কোন রকম ধুয়ে নতুন করে ক্রেতাদের সামনে খাবার পরিবেশন করছে। হোটেল গুলোর পরিবেশ দেখে মনে হবে সর্বক্ষণ সেখানে রোগ জীবানু কিল কিল করছে। যাহা দেখার এবং বলার কেউ নেই। এ ব্যাপারে তাহাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহীনা আক্তার বলেন, এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যেমে অনেক হোটেল ও মিষ্টির দোকানের মালিকদের জরিমানা করেছি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত আছে।

উপজেলা স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযানে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। মিষ্টি জাতীয় পণ্যের মধ্যে বিভিন্ন রং দেওয়া বন্ধ হয়েছে এবং হোটেল ও মিষ্টির দোকানের মালিকদের খাবার গুলো ঢাকনা যুক্ত করার জন্যও তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে’।

প্রথম পাতা