বিভিন্ন দপ্তরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের ॥ ক্রয়কৃত জায়গায় মাটি ভরাট করতে পারছেন না ব্যবসায়ী মর্তুজ আলী
তারিখ: ৩-ডিসেম্বর-২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগরে পৃথক মৌজায় ৬৪ শতক জায়গা ক্রয়ের পরও দখলে নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন উমেদনগর এলাকার ব্যবসায়ী মর্তুজ আলী।

অন্যদিকে জায়গাটি বিক্রি করা হয়নি। মর্তুজ আলী ও তার লোকজন জায়গাটি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছেন বলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন চৌধুরী বাজার (খোয়াই মুখ) এলাকার বাসিন্দা হালিমা খাতুন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক মামলাও। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে পৃথকভাবে উমেদনগর এলাকার মমিনুল ইসলামের ওয়ারিশানের কাছ থেকে আতুকুড়া ও কামড়াপুর মৌজার বেশ কিছু জায়গা ক্রয় করেন উমেদনগর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মর্তুজ আলী। পরে জায়গাগুলো মর্তুজ আলী ও তার ছেলেদের নামে রেকর্ড করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর ২০১৪ সালে হঠাৎ করেই রেকর্ড সংশোধনের আবেদন জানিয়ে ল্যান্ড সার্ভে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন হালিমা খাতুন ও তার বোনেরা। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৫ মে ও ২৫ মে পৃথক শোনানীতে আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়ে আরএস রেকর্ড বহাল রাখেন।

সর্বশেষ চলতি বছরের ৫ নভেম্বর আদালতকে জানিয়ে ওই জায়গায় মাটি ভরাট শুরু করেন মর্তুজ আলী ও তার ছেলেরা। কিন্তু মাটি ভরাটের সময় বাঁধা প্রদান করেন হালিমা খাতুন ও তার লোকজন। এমনকি তারা মর্তুজ আলীর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। এক পর্যায়ে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন মর্তুজ আলী।

এদিকে, জায়গাটি বিক্রি করা হয়নি। মর্তুজ আলী ও তার লোকজন জায়গাটি জোরপূর্বক দখল করতে মাটি ভরাট করছে বলে গতকাল হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হালিমা খাতুন। বিষয়টি নিয়ে তিনি ভুমি মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।