আজমিরীগঞ্জে স্কুলের জমিতে থাকা সাইনবোর্ড ও বাঁশের বেড়া অপসারণ
তারিখ: ২৩-সেপ্টেম্বর-২০২২
সেন্টু আহমেদ জিহান, আজমিরীগঞ্জ \

আজমিরীগঞ্জের এ.এ.বি.সি সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গায় ভূমিখেকোদের দেয়া সাইনবোর্ড ও বাঁশের বেড়া অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাঁশেরখুটি ও সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ আমল থেকে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকাবাসীর সমন্বিত ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম দিকের পুকুরসহ ফসলের ভূমির জায়গা স্কুলের অধীনেই ছিল। এমনকি সীমানা প্রাচীর হিসেবে সেখানে হোস্টেল এবং একটি পাকা টয়লেট ছিল।  এখনও টয়লেটটি দৃশ্য পরিলক্ষিত। বর্তমানে একটি মহল কৌশলে জায়গাটি নেয়ার পায়তারা করছে। এতে তারা বাঁশের বেড়া ও সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসান মোস্তফা জানান, স্কুলের দলিলপত্রে পশ্চিম দিকে স্কুলের নামে ১ দশমিক ১২ একর জমি রয়েছে। কিন্তু শুক্রীবাড়ি গ্রামের মফিজুল মিয়া সেই জমি পার্শ্ববর্তী ফতেপুর গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার কাছ থেকে ক্রয় করছে বলে দাবী করেন। প্রায় ২মাস পূর্বে উল্লিখিত জমি তার দাবী করে সেখানে বেড়াসহ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন তিনি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে ইউএনওর অফিসে গতকাল বৈঠক বসে। পরে বিকেলে সেই বেড়া ও সাইনবোর্ড প্রশাসন উচ্ছেদ করে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘স্কুলের জায়গায় তাঁরা বেড়া ও সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসন থেকে শুনানির জন্য তাদের কয়েকবার ডাকা হলেও তারা কোন সাড়া দেয়নি’।
এ বিষয়ে জমির মালিক দাবি করা প্রবাসী মফিজুল মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া জানান, ২০১০ সালে ৫০ হাজার টাকা শতক ফতেহপুর গ্রামের আব্দুল মালেক তার ভাই আব্দুল বারেক এবং বোন মুক্তার বিবির কাছ থেকে ৯৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরে তারা কাগজপত্র পেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ জায়গাটি তাদের জানালে গত কয়েক বছর ধরে ইজারা নিয়ে জমিতে ফসল ফলাচ্ছেন।  
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শফিকুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীসহ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় বৃটিশ আমল থেকেই জমিটি স্কুলের। তবে এলাকার অন্য একজন জমি নিজের বলে দাবি করছেন। এ বিষয়ে তাদের ডাকা হলেও তারা কোন সাড়া দেয়নি। যে কারণে সাইনবোর্ড ও বেড়া অপসারণ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬শত ৫০ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।