জব্দকৃত ৬০ লক্ষ টাকার সরকারি বালু চুরি, ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস ইউএনও’র
তারিখ: ১৭-সেপ্টেম্বর-২০২৫
মাধবপুর প্রতিনিধি \

মাধবপুরে সরকারিভাবে জব্দকৃত ৬০ লক্ষ টাকার বালু চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কার্যাদেশ না হওয়া সত্তে¡ও তৎকালীন একটি চক্র প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেয়ায় বর্তমানে এলাকায় একটি চাঞ্চ্যেলের সৃষ্টি করেছে। তবে মাধবপুরের ইউএনও জাহিদ বিন কাসেম বিষয়টি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় উত্থাপন করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। ইউএনও বলেন, বালু চুরি তথা রাজস্ব ফাকির বিষয়গুলো উত্থাপিত হবে। এরপর অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন কোন চোরদের প্রশ্রয় দেবে না। সে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের অনুমোদনে সোনাই নদীর পাড় থেকে জব্দ হওয়া প্রায় এক লাখ ঘনফুট সিলিকা বালি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। পরে ৯ মার্চ উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলমকে আহŸায়ক করে নিলাম কমিটি গঠন করা হয়। ওই নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হেলাল মিয়া মোট ৮৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকায় একটি প্যাকেজে বালি কেনার সুযোগ পান। নিয়ম অনুযায়ী পুরো অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার শর্ত থাকলেও তিনি মাত্র ২৩ লাখ টাকা জমা দেন। বাকি ৬০ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আর জমা দেওয়া হয়নি। তবুও হেলাল মিয়া নিলামকৃত বালি উত্তোলন শুরু করেন এবং নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে দীর্ঘদিন ধরে উত্তোলন ও বিক্রি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দুদক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছে। 
হবিগঞ্জের দুদকের উপ-পরিচালক এরশাদ আলী বলেন, “এই দুর্নীতির ঘটনা অত্যন্ত সুকৌশলে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। আমরা তদন্তের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছি। তবে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে ইউএনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।