কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা সভায় বক্তারা ॥ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তির ছবি থাকতে দেয়া হবে না
তারিখ: ২৬-ফেব্রুয়ারী-২০১৭
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) হবিগঞ্জ জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত কৃতি ছাত্রদের পুরস্কার বিতরণ ও বেফাকের সাবেক মহাসচিব আল্লামা আব্দুল জব্বার এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন- গ্রিক মূর্তি ন্যায় বিচারের প্রতীক হতে পারে না। হিন্দু রাষ্ট্র ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সামনে কোনো মুর্তির ছবি নেই। ৯০শতাংশ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রিক মূর্তির ছবি থাকবে কেন। সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের আশ্রয়স্থল।সেখানে কোনো মুর্তির ছবি রাখতে দেয়া হবে না। মুর্তি সরাতে প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। গতকাল হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে বেফাক জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে বেফাকের আমৃত্যু মহাসচিব মরহুম আল্লামা আব্দুল জব্বারের জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেফাকের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন- দেড়শত বছর যাবত এ উপমহাদেশে কওমী মাদ্রাসার আলেম ওলামারা জাতীকে দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। অনেক বাধা এসেছে। সকল বাধা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে। আগামীতেও ঐক্যবদ্ধভাবে সকল বাধা অতিক্রম করে ঘরে ঘরে প্রকৃত ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিতে বেফাক কাজ করে যাবে। কৃতি শিক্ষাথীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেফাকের কেন্দ্রীয় মহা পরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন-বেফাককে নিয়ে কোনো রাজনীতি করা চলবে না। সরকার কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিতে চায়। তবে তা সরকারের স্বার্থে আমাদের স্বার্থে নয়। দেওবন্দের আদলে স্বীকৃতি দিতে চাইলে আমরা তা মেনে নেব। অন্যথায় আমরা সরকারের স্বীকৃতি চাই না। সরকারের এ ধরনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে। মুফতি হাফেজ বশির আহমেদ ও  মাওলানা নিয়াজুর রহমান নিজামের যৌথ পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আইয়ূব বিন সিদ্দিক, মাওলানা আজিজুর রহমান মানিক, মাওলানা গোলাম কাদির, অধ্যাপক মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মাওলানা আমিমুল এহসান মাসুম, মাওলানা আনোয়ার আলী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা জাবির আল হুদা চৌধুরী, মাওলানা জুনাইদ আহমদ, মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা কাজী আব্দুল হাই, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা জুনাইদ আহমেদ শাকির, মাওলানা মুফতি মহসিন আহমেদ, মাওলানা লুৎফুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ। সম্মেলনে অতিথিবৃন্দ বেফাকের ৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুমতাজ প্রাপ্ত ২৩৮ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন। এ উপলক্ষে ৪৪ পৃষ্ঠার একটি সম্মেলন স্বারক প্রকাশ করা হয়।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা