বাহুবলে যুবতিকে গণধর্ষনের ঘটনায় দুই যুবক আটক ॥ থানায় মামলা দায়ের
তারিখ: ২৬-এপ্রিল-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

প্রেমের টানে নারায়নগঞ্জ থেকে বাহুবলের জয়পুরে এসে গণধর্ষণের শিকার যুবতি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আটক ২ লম্পটকে কারাগারে প্রেরণ করা হলেও মূলহোতা এমরান মিয়া রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। এদিকে ওই যুবতির শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। সে সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রসঙ্গত নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার দিঘিবরাবর গ্রামের মৃত মনোয়ার হোসেনের কন্যা নাজমা আক্তার আখির স্বামী মারা যায় ৬ মাস আগে। পিতার অভাব অনটনের সংসারে সে গার্মেন্টেসে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এ সময় এক অনুষ্ঠানে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের তৈয়ব খার কন্যা লিপি আক্তারের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। লিপি তার ভাই বাহুবল উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলম ও তার দুলা ভাই এমরান মিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আলমের সাথে নাজমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত সোমবার দুপুরে আলম ওই যুবতিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাহুবলে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। নাজমা তাকে বিয়ের কথা বললে আলম জানায় রাতে তাদের বিয়ে হবে। কিন্তু রাতে নির্জন একটি বাড়িতে নাজমাকে নিয়ে যায় আলম। সেখানে নিয়ে রাতভর আলমসহ বেশ কয়েকজন যুবক তাকে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে ছ্যাকা দেয়। গত মঙ্গলবার সকালে তাকে রাস্তায় ফেলে দিলে মুর্মুষূ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি সর্বত্র প্রচার হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। মঙ্গলবার রাতেই বাহুবল থানার ওসি মাসুক আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমরানের স্ত্রী লিপি আক্তার (২৫), লিপির ভাই উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলম মিয়া (২২) ও পূর্ব জয়পুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র ছায়েদ আলী (৪৫) কে আটক করে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লিপি জানায়, তার স্বামী এমরান ও ভাই আলমের সাথে নাজমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। লিপি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। পরে পুলিশ লিপিকে ছেড়ে দেয়। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে এ ঘটনার মূলহোতা এমরান মিয়া পালিয়ে যায়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষনের স্বীকার নাজমা আক্তার বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ একজনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করে। গতকাল বুধবার দুপুরে বাহুবল মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মাসুক আলী জানান, দুইজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষিতার জবানবন্দি আজ বৃহস্পতিবার আদালতে রেকর্ড করার কথা রয়েছে।