শায়েস্তাগঞ্জে সৌদী প্রবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা রুজু করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ
তারিখ: ১২-জুলাই-২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার ॥

শায়েস্তাগঞ্জের পুরানবাজারে সৌদী প্রবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পর মামলা রুজু করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। গত ৯ জুলাই মামলাটি রুজু করে এস.আই কাশী চন্দ্র শর্মাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম আজমিরুজ্জান। মামলার বিবরণে প্রকাশ, গত ৫ মে শুক্রবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর যুবদলের সভাপতি আঃ মজিদ, তার সহযোগী নূরুল হোসেন বাচ্চু ও জুয়েল মিয়াসহ একদল লোক পৌর এলাকার পূর্ব লেঞ্জাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাজী ফুল মিয়ার পুত্র সৌদী প্রবাসী শামীম আহমেদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং তার ভবন নির্মান কাজ জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, এ সময় হামলাকারীরা ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোনসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শামীম আহমদ আহত হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাপসাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এস.আই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে আব্দুল মজিদ, নূর হোসেন বাচ্চু, জুয়েল মিয়া, তাসলিমা আক্তার, শামীম মিয়া, সেলিম মিয়া ও নাহিদা আক্তারকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শামীম আহমেদ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী শামীম আহমদ ২০১০ সালে প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার চাচা ছুরক আহমদ ও সেলিম আহমদের নিকট থেকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে পৌর এলাকার অন্তর্গত ২ শতক ভূমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই দুই শতক ভূমির মধ্যে ১.৬৫ শতাংশ ভূমির রেজিষ্ট্রি দলিল হলেও অবশিষ্ট ভূমি জুডিসিয়াল স্টাম্পে লিখিত নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন শামীম। ২০১৪ সালে তিনি দেশে ফিরে ওই ভূমির উপর বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজ শুরু করে আবারও প্রবাসে ফিরে যান। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসে ওই ভবনের অবশিষ্ট নির্মান কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে শামীম আহমদ অভিযোগ করে বলেন, “আমার ক্রয়কৃত ভূমির মধ্যে ০.৩৫ শতাংশ বিক্রেতা ছুরক আহমেদ রেজিষ্ট্রি দলিল না করে দেয়ায় টানা ৮ বছরে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতদিন রেজিষ্ট্রি দলিল দেই-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করলেও সম্প্রতি ছুরুক মিয়া ও সেলিম আহমেদ তা অস্বীকার করছে এবং ভবন নির্মান কাজে বাধার সৃষ্টি করছে। শুধু তাই নয়, তারা এলাকার প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি”।

তিনি আরো বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবনের আয় দিয়ে উক্ত ভূমিটি ক্রয় ও একমাত্র ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এটিই আমার একমাত্র সম্বল। তাছাড়া আমার আর কোন আয়ের উৎস নেই। ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে আমার আয়ের উৎস তৈরি হত। কিন্তু নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ায় চরম আর্থিক বিপাকে পড়েছি। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি”।

প্রথম পাতা