মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক রোগী ॥ বিথঙ্গল আখড়া বাজারে হাতুড়ে ডাক্তার সাইদুলের অপচিকিৎসা
তারিখ: ১২-জানুয়ারী-২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বানিয়াচং উপজেলার বিথঙ্গল আখড়া বাজারে এক হাতুড়ে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় আর্থিক ও শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি দেখা দিয়েছে প্রাণহানীর আশংকা। বিষয়টি নিয়ে জনমনে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও উত্তেজনা। প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবরে দায়ের করা হয়েছে লিখিত অভিযোগ। জানা যায়, উপজেলার বিথঙ্গল আখড়া বাজারে ‘শাহ দেওয়ানবাগী ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান খুলে অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন  একই এলাকার গোলাম হাশেম চৌধুরী ওরফে বাচ্চু মিয়া চৌধুরীর পুত্র সাইদুল চৌধুরী নামে এক হাতুড়ে ডাক্তার। তিনি নিজেকে “ডাক্তার” পরিচয় দিলেও সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের নেই কোন পেশাগত সনদ। শুধু তাই নয়, তার মালিকানাধীন ‘শাহ দেওয়ানবাগী ডায়াগনস্টিক সেন্টার’-এরও নেই কোন নিবন্ধন। তার অপচিকিৎসায় এলাকার বহু মানুষ আর্থিক ও শারীরিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এমনকি অনেকেরই দেখা দিয়েছে প্রাণহানীর আশংকা। এদের একজনের নাম মোঃ আব্দুর রউফ। তিনি সম্প্রতি  পেটের পীড়াজনিত কারণে কথিত ওই ডাক্তার সাইদুলের কাছে যান। এ সময় রোগী আব্দুর রউফের পেটে একটি নল ঢুকিয়ে দেন সাইদুল। রোগীর স্বজনরা তাকে পেটে নল ঢুকানোর কারণ জিজ্ঞেস করলে সাইদুল জানান, ‘গ্যাস বের করার চেষ্টা করছি’। পরে তার দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে আব্দুর রউফের  পেটের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। ঘটে শারীরিক অবস্থার অবনতি। এক পর্যায়ে আশংকাজনক অবস্থায় গত ৯ জানুয়ারী আব্দুর রউফকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আব্দুর রউফ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে হাতুড়ে ডাক্তার সাইদুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবী জানানো হয়। কথিত ডাক্তার সাইদুলের অপচিকিৎসার শিকার আব্দুর রউফ উপজেলার বিথঙ্গল পশ্চিম হাটির বাসিন্দা।

এদিকে, স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান; শুধু আব্দুর রউফ নন, এলাকার বহু মানুষ সাইদুলের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।