বানিয়াচংয়ে দোকান কর্মচারীকে হত্যা করে লাম গুমের চেষ্টা \ থানায় মামলা \ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে পুলিশ
তারিখ: ২০-জানুয়ারী-২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার \

বানিয়াচংয়ে আক্তার আলী (৩০) নামে দোকান কর্মচারীকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্ঠা করা হয়েছে। নিহত আক্তার আলী বানিয়াচং ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের তকবাজখানী গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, আক্তার আলী নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার রঘুচৌধুরী পাড়া মহল্লার মস্তুফা মিয়ার পুত্র মোঃ আলমগীর মিয়ার মালিকানাধীন আদর্শবাজারস্থ দোকানে কর্মচারী হিসেব কাজ করে আসছিল। সম্প্রতি কর্মচারী আক্তার আলীর মাসের পর মাসের বহু বেতনের টাকা আটকিয়ে রাখেন দোকান মালিক। দিনের পর দিন টাকা ছেয়েও পাননি দোকান কর্মচারী আক্তার আলী। আর এতে করে পরিবার নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করেন তিনি। এরই জেরধরে ১৫ জানুয়ারী সকাল থেকে দোকানে যাননি তিনি। এক পর্যায়ে সকাল ৯ টার দিকে আক্তার আলীকে দোকানে না পেয়ে তার বাড়িতে যায় দোকান মালিক আলমগীর মিয়া। এসময় বেতনের টাকা না দিলে দোকানে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করে আক্তার আলী। এরই প্রেক্ষিতে আক্তার আলী ও আলমগীর মিয়ার মধ্যে এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সে দোকানে না গেলে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয়া হয়। পরে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে দোকানে কাজের উদ্যেশ্যে যায় আক্তার আলী। এরপর দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসলেও আক্তার আলী বাড়িতে না পৌছায় তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার স্বামীর কর্মস্থলে যায়। এসময় তার স্বামী কোথায় জিজ্ঞেস করলে অনেক আগেই আক্তার আলী বাড়িতে চলে গেছে বলে জানায় তারা। অর এতে করে রোজিনার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে রাত পার হলে গেলেও আর বাড়িতে ফিরেনি আক্তার। পরদিন সকালে আলমগীর মিয়ার দোকানের ভেতরে আক্তার আলীর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। পরে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৭ জানুয়ারী নিহত আক্তার আলীর স্ত্রী রোজিনা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার আসামীরা হল, রঘুচৌধুরীপাড়া মহল্লার মস্তুফা মিয়ার পুত্র মোঃ আলমগীর মিয়া, মৃত তোরাব আলীর পুত্র মস্তুফা মিয়া ও মস্তফা মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে নামে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

 

প্রথম পাতা