বাহুবলে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ ॥ কর্মস্থল থেকে অব্যাহতির পরও বেতন-বোনাস পেলেন শিক্ষিকা!
তারিখ: ১২-জুন-২০১৯
দিদার এলাহী সাজু ॥

কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি দিয়েও নিয়ম বহির্ভূতভাবে এক শিক্ষিকাকে ‘বেতন-বোনাস’ পাইয়ে দিয়েছেন বাহুবল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তার রহস্যজনক টালবাহানা ও দায়িত্বহীনতার কারনে আন্তঃবিদ্যালয় বদলী আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অপর এক শিক্ষিকা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবরে লিখিত এক আবেদনে এমন অভিযোগই করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকার স্বামী। অভিযোগে প্রকাশ, বাহুবল উপজেলার রাউদগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা ইয়াছমিন তার স্বামীর কর্মস্থল চুনারুঘাট উপজেলায় তাকে বদলী করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে চুনারুঘাটে বদলীর জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে সুপারিশ করেন চুনারুঘাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এরপর গত ৩১ মার্চ জেপ্রাশিঅ/১০৫২ নং স্বারকে বাহুবল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মজিদ বরাবরে আন্তঃবিদ্যালয় বদলীর আদেশ দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। ওই আদেশে সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা ইয়াছমিন চুনারুঘাট উপজেলার টিলাগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শেখ শারমিন আক্তারকে একই উপজেলার ঊষাইনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর আদেশ জারী করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আদেশ প্রাপ্তির পর তা বাস্তবায়নে রহস্যজনক কারনে গড়িমসি ও টালবাহানা শুরু করেন বাহুবল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে অবশেষে গত ৩০ এপ্রিল বাধ্য হয়ে শিক্ষিকা ফাতেমা ইয়াছমিনকে কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি দেন তিনি। তবে তার সহযোগিতায় অব্যাহতি প্রাপ্তির পরও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মে মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস উত্তোলন করেন ফাতেমা। অপরদিকে, বদলী আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অপর শিক্ষিকা শেখ শারমিন। পরে উপায়ন্তর না দেখে গত ১১ জুন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার স্বামী সৈয়দ কামরুজ্জামান।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ফাতেমা ইয়াছমিনের চাহিদা মত তাকে চুনারুঘাটে বদলী করা হয়েছে। তিনি সেখানে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী শোকজ করা যেত। কিন্তু তা না করে উল্টো তাকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রেখেই ‘বেতন-বোনাস’ দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন বাহুবল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, ফাতেমার বদলী ঠেকাতে তদবিরও করেন তিনি। তার এহেন দায়িত্বহীনতা ও দূর্নীতির কারনে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন আমার স্ত্রী’।

প্রথম পাতা