সাতছড়িতে বিজিবির অস্ত্র উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত
তারিখ: ৫-মার্চ-২০২১
আমীর হামজা ॥

চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিন অরণ্যে ৩য় দিন দুপুর পর্যন্ত অস্ত্রের সন্ধানের অভিযান চালিয়ে বিকেলে সমাপ্তি ঘোষনা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের অভিযান সমাপ্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৫৫ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সামীউন্নবী চৌধুরী। তবে নতুন করে আর কোনো অস্ত্র কিংবা গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে গভীর বন থেকে উদ্ধারকৃত ১৮টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার ৫৫ উদ্ধার করে। এসব গোলাবারুদ ধ্বংস করা হবে নাকি ঢাকায় পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এটি সাতছড়িতে সপ্তম দফার অভিযান ছিল।

সাতছড়ি বনে এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।

এর পর আবারও ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়।

পরে একই বছরের ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির আট হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। সবশেষ ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩ রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। পরে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট এর বোম ডিসপোজল টিম এগুলো বনের ভেতরেই ধ্বংস করে ফেলে।

শেষ পাতা