পুকড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আফরোজ মিয়াসহ সঙ্গিদের উপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা
তারিখ: ১৫-সেপ্টেম্বর-২০২১
স্টাফ রিপোর্টার \

বানিয়াচঙ্গের পুকড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সাবেক মেম্বার আফরোজ মিয়া ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামলীগ সভাপতি মোছাব্বির মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল দাশসহ তাদের সঙ্গিদের উপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দড়ওয়া সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কাটখাল ও দড়ওয়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় পুকড়া ইউনিয়নের সকল গ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট মুরুব্বীয়ানসহ শ্রেণী পেশার লোকজন অংশ গ্রহন করেন। এছাড়াও প্রতিবাদ সভায় পাশ্ববর্তী সুবিদপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মুরুব্বীয়ান অংশ গ্রহন করেন। পুকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুরুব্বী আব্দুর রাজ্জাক, চনু মিয়া, আবুল কালাম মেম্বার, কাজী শাহজাহান, আব্দুল্লাহ মিয়া, মাওলানা জুনাইদ আহমেদ, জয়নাল আবেদীন, তাহির হোসেন, রমজান আলী, মাওলানা সামরুল ইসলাম, ধুলা মিয়া মেম্বার, সোহেল মিয়া, নজরুল ইসলাম, মখসুদ আলী, রিপন মিয়া, সেকুল মিয়া, আব্দুর রউফ, আব্দুল্লাহ মিয়া, গিয়াছ উদ্দিন, নূরুল ইসলাম, শেখ জহুর আমি, নূরুল হক, মাওলানা কাশেম বিলাহ নোমান, ফারুক মিয়া মেম্বার, আফরোজ মিয়া, রমজান আলী, তাহির মিয়া, সুজন মিয়া, রিপন মিয়া, আব্দুর রহমান, আমিরুল ইসলাম, প্রবাদ চন্দ্র দাশ, নিশি কান্ত দাশ, সমিরণ দাশ, ফুলেন্দ্র দাশ, ফরিদ মিয়া, আব্দুর রহিম, শাহীন মিয়া, আব্দুল বারিক, ওসমান মিয়া, তোফাজ্জুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, ফারুক মিয়, হাজী দরবেশ আলী প্রমূখ। সভার শুরুতে হামলার ঘটনার বিবরণ দেন পুকড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সাবেক মেম্বার আফরোজ মিয়া ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামলীগ সভাপতি মোছাব্বির মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল দাশ। সভায় বক্তারা যুবলীগ নেতা আফরোজ মিয়া ও আওয়ামীলীগ নেতা মোছাব্বির মিয়া, শ্যামল দাশসহ তাদের সঙ্গিদের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। অন্যথায় পুকড়া ইউনিয়নবাসী বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহন করবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। এছাড়াও বক্তারা বলেন-ভবিষ্যত এরাজত গং আর কোন অন্যায় করলে এর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেব এলাকাবাসী। উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর পুকড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সাবেক মেম্বার কাঠখাল গ্রামের বাসিন্দা আফরোজ মিয়া ও আওয়ামীলীগ নেতা মোছাব্বির মিয়া, শ্যামল দাশসহ তাদের সঙ্গিরা সিএনজি যোগে একটি মামলার হাজিরা দিতে আদালতে আসছিলেন। পথির মধ্যে উমেদনগর মাদ্রাসার সামনে আসলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একই গ্রামের বাসিন্দা এরাজত মিয়াসহ তার ভাগ্নেরা সিএনজি অটোরিক্সা আটক করে তাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। হামলায় যুবলীগ নেতা আফরোজ মিয়া ও আওয়ামলীগ নেতা মোছাব্বির মিয়া, শ্যামল দাশসহ ৮ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় মোচ্ছাব্বির মিয়াসহ ৪জনকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা শ্যামল চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার গতকাল কয়েকজন আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত শুনানী শেষে ৩ জন কারাগারে প্রেরণ করে। এছাড়াও আরো ৩ আসামী পলাতক রয়েছে।

ক্যাপসনঃ ১ বক্তব্য রাখছেন ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন

ক্যাপসনঃ ২ প্রতিবাদ সভায় প্রতিবাদ সভায় হামলার ঘটনার বিরবরণ দিচ্ছেন পুকড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আফরোজ মিয়া।