তেঘরিয়া ইউপি মেম্বার লিটনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি-আত্মসাতের অভিযোগ
তারিখ: ১৪-অক্টোবর-২০২১
স্টাফ রিপোর্টার \

 হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার কোরবান আলী লিটনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতি, প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষে এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, ২০১৭ সালে মাহমুদাবাদ ও ওয়াপদার বাধ হইতে মেম্বার লিটন মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত টি বরাদ্দের ৫০ হাজার টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে কাকিয়ারআব্দা ওয়াপদার বাধ হইতে সমুজ আলী বাড়ি পর্যন্ত সিড়ি নির্মাণের ৮৫ হাজার টাকা, একই অর্থবছরে মাহমুদাবাদ ও ওয়াপদার বাধ হইতে আকবর আলীর বাড়ি পর্যন্ত সিড়ি নির্মাণের ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, এলজিএসপির রাস্তা হইতে কাকিয়ারআব্দার আক্কাছ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, উত্তর তেঘরিয়া ওয়াপদার বাধ হইতে সিড়ি নির্মাণের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, উত্তর তেঘরিয়া ওয়াপদার বাধ হইতে সিড়ি নির্মাণের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা,  ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনন্তপুর ওয়াপদার বাধ হইতে সিড়ি নির্মাণের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, উত্তর তেঘরিয়া আঞ্জব আলীর বাড়ি হইতে রাস্তা নির্মাণের ৫০ হাজার টাকা, পূর্ব অনন্তপুর ওয়াপদার বাধ হইতে সিড়ি নির্মাণের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একই অর্থবছরে মাহমুদাবাদ হাজী আকবর আলী মার্কেটের সামনে আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল স্থাপনের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ভূয়া নামে বিধবা, বয়স্ক ও পঙ্গু ভাতা উত্তোলন, মাহমুদাবাদ মসজিদের টিউবওয়েল স্থাপনের টাকা, ভূয়া নামে আড়াই হাজার টাকা করে ২০/২২ জনের করোনা প্রণোদনার টাকা আত্মসাত করেছে মেম্বার কোরবান আলী লিটন। তেঘরিয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আনু মিয়া মেম্বার লিটনের মামা। শুধু তাই নয়, বড় ভাই শামছুক হক একজন আইনজীবি ও জেলা দুদকের সদস্য হওয়ায় এলাকায় প্রভাব কাটিয়ে ইচ্ছামতো অনিয়ম-দূর্নীতি করে যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে সে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। যে কারনে এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেননা।  ইতিপূর্বে তার এক ভাগিনা ১০ টাকা মূল্যের সরকারী ৩৩ বস্তা চালসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। উপরোক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক মেম্বার লিটনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগপত্রে জোর দাবী জানানো হয়েছে।