আজমিরীগঞ্জে বিকাশ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে ৯ লাখ টাকা লুট
তারিখ: ১৪-অক্টোবর-২০২১
আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি \

আজমিরীগঞ্জ পৌর সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মা টেলিকম নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হুমাইয়ুন মিয়া (২৬) কে ছুরিকাঘাত করে টাকা লুট করে  নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় দুর্বৃত্তরা দোকানের ক্যাশ ভেঙ্গে নগদ প্রায় ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হুমাইয়ুন মিয়া কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার পুত্র। জানা যায়, হুমায়ুন মিয়া আজমিরীগঞ্জ বাজারের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সর সামনে বিগত কয়েক বছর আগে মা টেলিকম নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। দোকানে ব্যবসার পাশাপাশি রাত্রি যাপন ও করতেন হুমায়ুন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টায় দোকানের পিছনে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে চার-পাচঁজন দুর্বৃত্ত হুমায়ুন মিয়ার মাথায় এবং পেটে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তারা দোকানের  ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আহত হুমায়ুন মিয়া ফোনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নাইডগার্ড আবু বক্করকে বিষয়টি অবগত করলে আবু বক্করসহ আরো কয়েকজন পাহাড়াদার হুমায়ুন মিয়ার দোকানে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এরপর বুধবার সকালে হুমাইযুনের স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নিয়ে যান। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নাইট গার্ড আবু বক্কর জানান, হুমায়ুন মিয়া নামে ওই ব্যবসায়ী কল করার পর আমি হেলাল মিয়াসহ আরো কয়েকজন পাহাড়াদারকে নিয়ে তার দোকানে যাই। তারপর তাকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। আহত ব্যবসায়ী হুমায়ুন মিয়ার চাচা আবুল কাশেম জানান, আমরা খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ এসে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। তার শরীরে অসংখ্য আঘাত রয়েছে। হুমায়ুন বলছে ক্যাশে থেকে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজমিরীগঞ্জ থানার (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, হুমায়ুন মিয়া একজন বিকাশ ব্যবসায়ী। রাতের আধারে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক ভাবে তার ৯ লক্ষাধিকের অধিক টাকা তারা নিয়ে গেছে বলে দাবী করেছেন ওই ব্যবসায়ীর স্বজনরা। তবে এটি ডাকাতি কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। (ওসি) বলেন, হুমায়ুনের বন্ধুবান্ধবরাও টাকার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। বিয়টি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।