অগণিত ভক্তের উলুধ্বনি এবং পূজা অর্জনার মধ্য দিয়ে হিন্দু স¤প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা বাহুবল উপজেলার জয়পুর শচী অঙ্গন ধামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শচী অঙ্গন ধাম দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে এ বছর শচী অঙ্গন ধামে কুমারী হিসেবে পূজিতা হয়েছেন সবুজ চক্রবর্তীর ১০ বছর বয়সী কন্যা ¯েœহা চক্রবর্তী। তাদের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নোয়াগাও গ্রামে। ১০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ায় কুমারীর নাম রাখা হয় অপরাজিতা। কুমারী পূজার পুরোহিত ছিলেন বিপুল ভট্টাচার্য্য। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাক ঢোল ও শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনির মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নীরঞ্জন সাহা নীরু আড় কোল করে শিশু কন্যাকে দেবী সাজিয়ে নিয়ে আসেন পূজার বেদীতে। বসান সুসজ্জিত আসনে। এ সময় চারদিক মুখরিত হয় শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তব-স্তুতিতে। এরপর শুরু হয় পূজা অর্চনা। এর আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক এবং পায়ে আলতা। অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে সহস্রাধিক নারী পুরুষের ঢল নামে জয়পুর শ্রী শ্রী শচী অঙ্গন ধামে। পূজা শেষে অঞ্জলি ও ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা জগত মাতাকে আরাধনা করি। তিনি সকল নারীর মধ্যে মাতৃরূপে আছেন। এ উপলব্ধি সকলের মধ্যে জাগ্রত করার জন্য কুমারী পূজা। দুর্গা মাতৃরূপের প্রতীক আর কুমারী নারীর প্রতীক। কুমারীর মধ্যে মাতৃভাব প্রতিষ্ঠার জন্যই কুমারী পূজার লক্ষ্য। এবার মিরপুর বাজার সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সৌজন্যে এই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কুমারী পূজা পরিদর্শন করেন।