কালনী গ্রামে প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট
তারিখ: ৭-জানুয়ারী-২০২৫
শাওন খান \

 হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে মসজিদের ওযুখানায় টিন লাগানোর চেষ্টার জের প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গতকাল সোমবার সকাল ৬ টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর উপজেলার কালনী পুরাতন জামে মসজিদের ওযুখানায় টিন লাগাতে যান মসজিদ কমিটির সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সর্দার কাজী ফরিদ মিয়া। এতে বাধা দেন একই গ্রামের হাজী আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে বর্তমান ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমান সাস্তু। তার দাবী, টিনের পানি তার জায়গায় পড়বে। এ নিয়ে কাজী ফরিদ মিয়ার উপর মারমুখি হয়ে উঠেন মেম্বার ও তার লোকজন। এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কাজী ফরিদ মিয়া। এতে করে মেম্বার সাস্তু মিয়া ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গতকাল সোমবার সকালে মেম্বার সাস্তু মিয়া ও তার লোকজন কাজী ফরিদ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে খোঁজাখুজি করেন। এ সময় ফরিদ মিয়ার লোকজনের সাথে মেম্বারের লোকজনের বাক-বিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আছকির মিয়া, বজলু মিয়া, খাইরুন মিয়া, সজলু মিয়া, কাইয়ূম, হারুন, দুলাল মিয়া, বৃদ্ধা আয়েশা ও কমল উদ্দিন আহত হলে তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্নস্থানে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছকির মিয়া ও কমল উদ্দিনকে সিলেট ওসমানীতে প্রেরণ করেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে এ ঘটনার জের ধরে কমল উদ্দিনের পক্ষের মেম্বার লুৎফুর রহমান সাস্তু মিয়া, হবিব মিয়া, গাজী মিয়া, সালেক মিয়া, আমির উদ্দিন ও মুতি মিয়াসহ ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাজী ফরিদ মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এ সময় উল্লেখিতরা ফার্মেসী, দোকানপাট ও ৬টি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে। ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মটর পাইপ, ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্রসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এছাড়া ৭/৮টি গরু তারা নিয়ে যায় বলেও জানান ফরিদ মিয়া। বিষয়টি জানতে পেরে বিকেলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আলমগীর কবিরসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর মাস খানেক পূর্বেও রাত ১১ টার দিকে উল্লেখিতরা কাজী ফরিদ মিয়াকে মারপিট করে বলেও জানান তিনি। 
এদিকে, বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসার পর মেম্বারের লোকজনকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। এতে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষ চলাচালে একটি পক্ষ কয়েকটি গরু নিয়ে যায়। গরুগুলো মাঠ থেকে উদ্ধার করে পক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রথম পাতা