প্রচন্ড শীতেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে চুনারুঘাট পৌরসভার উপ-নির্বাচন ॥ প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে
তারিখ: ১৯-ডিসেম্বর-২০১৪
শরীফ চৌধুরী/আজহারুল ইসলাম চৌধুরী মুরাদ ॥

আর মাত্র ৪ দিন পর অনুষ্ঠিত হবে চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচন। তাই প্রচন্ড শীতেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে এই উপ-নির্বাচন। ইতিমধ্যে চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকায় সর্বত্রই বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। পৌর এলাকার আনাচে-কানাচে ছেঁয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে। মাত্র ১ বছর ২৭ দিনের জন্য পৌর মেয়র হতে ৬ প্রার্থী এখন নিজেদের অবস্থানকে সুসংহত রাখতে আট-ঘাট বেঁধে এই উপ-নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। ভোটাররাও হিসাব নিকাশ কষছেন। ২৩ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ৬ মেয়র প্রার্থীর রাতদিন কাটছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনায়। অনেক প্রার্থীদের স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয় স্বজনরাও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। সেই সাথে চলছে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী মিছিল ও মিটিং। একইসাথে কনকনে শীতকে উপেক্ষা করেও পৌর এলাকার সাধারণ ভোটাররা প্রতিটি চা-স্টলোকেও সরগরম করে রেখেছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে মিছিল করায় একজন প্রার্থীর দুই সমর্থককে আটকও করে পুলিশ। যদিও এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনটি অরাজনৈতিক হলেও প্রত্যেক প্রার্থীই পরিচিত হচ্ছেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ে। উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতাকারী ৬ প্রার্থীরা হলেন, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নাজিম উদ্দিন সামসু (তালা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এস কে ইফতেখারুল গণি খায়রু (দোয়াত কলম), উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুল কাদির লস্কর রিমন (কাপ-পিরিচ), উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম রুবেল (চশমা), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল-মামুন (মাইক) ও আফসার মিয়া চৌধুরী (আনারস)।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী আকস্মিক মৃত্যুবরণ করায় পৌরসভার মেয়র পদটি শূন্য হয়ে যায়। চুনারুঘাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১’শ ৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৬’শ ১১ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ হাজার ৫’শ ৮৪ জন। ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ৩০টি বুথে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা