সুজাতপুরের কুখ্যাত ডাকাত রামুনের সাজা আপিল আদালতেও বহাল
তারিখ: ২৮-মে-২০১৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ লাখাই, বানিয়াচং, কিশোরগঞ্জসহ একাধিক এলাকার ভিন্ন ভিন্ন মামলার আসামী কুখ্যাত ডাকাত রামুন মিয়ার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা আপিল আদালতেও বহাল রাখা হয়েছে। ফলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। রামুনের বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর গ্রামে। তার পিতার নাম আব্দুর রহিম। ২০০৪ সালের ১ ফেব্র“য়ারী তারিখে লাখাই উপজেলার ভরপূর্ণি গ্রামের পাশে ডাকাতের কবলে পড়েন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতান মাহমদপুর গ্রামের আলাউদ্দিন। ডাকাতরা তার কাছ থেকে ব্যবসা বানিজ্যের টাকা পয়সা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন বাদী হয়ে লাখাই থানায় মামলা দায়ের করেন। (জিআর ৬/৪)মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে রেকর্ড করা হয়। একই বছরের ১০ এপ্রিল তারিখে রামুন মিয়াকে দোষী সাব্যস্থ করে বিচারক সফিকুর রেজা বিশ্বাস ৩ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। কিছুদিন জেল হাজত ভোগ করে রামুন। পরবর্তীতে আপিলের শর্তে তার জামিন হয়। আপিল আবেদনের শুনানী হয় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে। চলতি বছরের ১০মে তারিখে আপিল আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন পূর্বে দেয়া রায় বহাল রাখেন। একই সাথে জামিন প্রাপ্ত আসামী রামুন মিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। রামুন মিয়া আদালতে হাজির হলে তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়। জননিরাপত্তা আইনে রামুন মিয়ার বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি মামলা হয়। দায়রা মামলা নং ১১/২০০০। ওই মামলায় রামুন মিয়াকে ৭ বছরের সাজা দেয়া হয়। কিছুদিন জেল হাজতের পর রামুন মিয়া উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করে জামিন লাভ করে। ওই মামলাটি হাই কোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। রামুন মিয়ার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের আদালতেও মামলা রয়েছে। প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে মামলা রয়েছে। কিশোরগঞ্জে দায়ের করা মামলার একটি ওয়ারেন্ট ইতিমধ্যে বানিয়াচং থানায় এসেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। রামুন মিয়া জেল হাজতে থাকায় ভাটি এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

প্রথম পাতা