নবীগঞ্জ উপজেলার ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নের মামনপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে ও একই উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর (পূবর্) ইউনিয়নের বড় ভাকৈর গ্রামে কৃষক ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী রুমেনা বেগমের লাশ ৬৭দিন পর কবরস্থান থেকে পরীক্ষার জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টার সময় হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহরিয়ার জামিল, তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই ইকবাল বাহার, গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপসহ স্থানীয় কয়েক শ জনতার উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ উত্তোলন করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের বড় ভাকৈর গ্রামে দুই সন্তানের জনক কৃষক ফরিদ উদ্দিনের (৪২) সাথে একই উপজেলার ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নের মামনপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে রুমেনা বেগমের (৩৫) সাথে প্রায় ১৬ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের কুলে আসে ফুট ফুটে দুটি সন্তান। সুখেই কাটছিল তাদের সাংসারিক জীবন। গত ২১ মার্চ শনিবার রাতে স্বামী ফরিদ উদ্দীনের সাথে শিশু সন্তানদের নিয়ে ঘুমাতে যায় স্ত্রী রুমেনা বেগম। গভীর রাত ফরিদ উদ্দিনের ঘুম ভেঁেঙ্গ গেলে সে দেখতে পায় বিছানায় তার শিশু সন্তান স্থানীয় ব্রাক স্কুলের ছাত্র মুছা মিয়া (৭), মুছলিমা বেগম (৫) ও তার স্ত্রী রুমেনা নেই। লক্ষ্য করে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা। তখন সে বাহিরে এসে পাগলের মতো খোঁজতে লাগেন অনেক খুজাখুজির পর হঠ্যৎ দেখতে পান ঘরের পাশেই পুকুরে শিশু সন্তান দুটি লাশ হয়ে পড়ে আছে। তখন তার শোর-চিৎকারে আশ পাশের লোকজন জড়িত হলে উক্ত লাশ দুটি পুকুর থেকে উত্তোলন করে। তার স্ত্রী রুমেনা বেগমকে খোঁজতে গেলে পুকুর পাঁড়ে জারুল গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। রুমেনা বেগম নিজের গায়ের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়েছে। তার পরিবার এর পক্ষ থেকে নবীগঞ্জ থানায় সংবাদ পৌছালে একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। গত ২২শে মার্চ ঘটনার প্রেক্ষিতে রুমেনার চাচা আশোক মিয়া বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় স্বামী ফরিদ উদ্দীন সহ ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। লাশ তিনটি হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানোর হলে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে রুমেনা আত্মহত্যার করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। মামলার বাদী বিজ্ঞ আদালতে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের উপর গত ২৬ এপ্রিল নারাজী দিলে বিজ্ঞ আদালত লাশ উত্তোলনের জন্য আদেশ দেন। শুরু থেকেই রুমেনার বাবার বাড়ি লোকজন ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়,পরিকল্পীত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিল। রুমেনার পিতা, মাতা ও আত্মীয় স্বজনের একটিই দাবী রুমেনার ঘটনাটি সুষ্ট তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।