মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের হরিণখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে নদীপাড়ে ছাগল আনতে গেলে একই গ্রামের মহিবুল নামে এক বখাটে যুবক তাকে একা পেয়ে ধর্ষন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষনের শিকার শিশুটির পিতা আবুল কালাম কালা মিয়া জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মেয়ে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী বাড়ির পাশে কালাছড়া নদীর পাড়ে ছাগল আনতে গেলে একই গ্রামের ইসমাইল সর্দারের ছেলে মহিবুল শিশুটিকে ঝাপটে ধরে নদী পাড়ে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষন করে। শিশুটি বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে মা বাবা ও প্রতিবেশির কাছে এ ঘটনা জানায়। কালা মিয়া পেশায় রিক্সা চালক দরিদ্র হওয়ায় এ ঘটনায় মামলা করতে চাইলে গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী মাতব্বররা এতে বাধাঁ দেয়। কালা মিয়াকে আশ্বস্থ করে উপযুক্ত বিচার দিয়ে এ ঘটনা শালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। গতকাল রোববার সকালে রজব আলী ও খালেক নামে দুই জন মাতব্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে তার কাছে আপোষের প্রস্তাব নিয়ে যায়। মাতব্বররা জানিয়েছে ডাক্তারি কাগজপত্র গ্রামে নিয়ে গেলে এগুলো দেখে তারা উপযুক্ত শালিস করে দেবে। হরিণখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আছমা আক্তার রিমা জানান, বাংলা, ইংরেজী দুটো পরীক্ষা ওই ছাত্রীটি দিয়েছে। এর পর থেকে গত ২দিন ধরে বিদ্যালয়ে অন্যান্য পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সে। ওই এলাকার ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন জালাল ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, মেয়েটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার শিকার পরিবার তার নিকট এলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক শেখ শিবলু আহম্মেদ জানান, এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।