বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের মদনমুরত গ্রামের কলেজছাত্র বাঁধন হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদী ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামীদের হুমকিতে মামলার বাদীকে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে। প্রাণের নিরাপত্তা চেয়ে বানিয়াচং থানায় জিডি করেছেন বাদী তিনি। সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে বানিয়াচঙ্গের ৭নং বড়ইউড়ি ইউনিয়নের মদনমুরত গ্রামের মদরিছ মিয়ার পুত্র শচীন্দ্র কলেজের ছাত্র বাঁধন খুন হয়। এ ঘটনায় নিহত বাঁধনের বড় ভাই ফারুক মিয়া বাদী হয়ে বিগত ১০ জুলাই ৩৫ জনকে আসামী করে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৬ জুলাই হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল আদালতে ৩৫ আসামীর ২২ জন হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ২২ জন আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে আসামিরা। তারা মামলার বাদী ফারুক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ফলে তাকে এতদিন ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। শুধু বাদীই নয়, আসামীদের হুমকিতে প্রাণের ভয়ে কাল কাটাচ্ছে মামলার স্বাক্ষীরাও। এ প্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট মামলার বাদী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবরে আসামীদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আসামীরা। বাদী ও বাদীর পরিবারের প্রতি হুমকি-ধামকির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় তারা। ফলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মামলার বাদী ফারুক মিয়া পরদিন ৪ আগস্ট বানিয়াচং থানায় একটি জিডি করেন। বর্তমানে পরিবারের সম্ভাবনাময় ও মেধাবী সন্তানটিকে হারিয়ে একদিকে হতাশায় নিমজ্জিত, অন্যদিকে তার হত্যার বিচার চেয়ে পুরো পরিবারটি কাটাচ্ছে চরম আতঙ্কে। থানার অফিসার ইন-চার্জকে এ প্রেক্ষিতে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জামিন বতিল বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট প্রদানের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।