মাধবপুরে জনতা ব্যাংকে ঋণ বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ
তারিখ: ১৯-জুন-২০১৭
মাধবপুর প্রতিনিধি ॥

মাধবপুর উপজেলা সদরে জনতা ব্যাংকে ঋণ বিতরনে ব্যাপক অনিময় ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনতা ব্যাংক মাধবপুর সদর শাখা এখন দালাল নির্ভর হয়ে পড়েছে। দালাল ছাড়া কোন কাজ হয় না। ঋণ নিতে গেলেও দালালের মাধ্যমে যেতে হয়। ব্যাংকে চিহিৃত কয়েকজন দালাল রয়েছে। যারা কৃষকদের বুজিয়ে ব্যবস্থাপকের কাছে নিয়ে যান। জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মনোরঞ্জন দাস ও আইও (অনুসন্ধান কর্মকতা)  মোঃ সুলতান মিয়া  মিলে সাধারন কৃষকদের কাছ থেকে ঋণের নামে অবৈধ সুবিধা  গ্রহন করছেন। এ রকম অসংখ্য অভিযোগ এনে আন্দিউড়া ইউনিয়নের মীরনগর গ্রামের কৃষক মোঃ সেলিম মিয়া বাদি হয়ে জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার খাটুরা গ্রামের মোঃ নুর ইসলামের মেয়ে মোছাঃ রত্মা বেগমের ভোটার আইডি কার্ড জনতা ব্যাংকের জমা দিয়ে খাটুরা গ্রামের উনু মিয়ার মেয়ে বাহারা বেগম স্বাক্ষর দিয়ে ৯ হাজার টাকা ঋন নিয়েছে। খাটুরা গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের নামে খাতা পত্রে ৩০ হাজার টাকা কৃষি ঋন মঞ্জুর হয়। কিন্তু তিনি পেয়েছেন মাত্র  ৯ হাজার টাকা। বাকি টাকা দালাল ও ব্যাংকের লোকজন ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে গেছেন। জগদীশপুর ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের শত শত কৃষকের নামে মোটা অংকের টাকা অনাদায়ী ঋন রয়েছে। এই অনাদায়ী টাকা আদায়ের নামে চলছে নানা অনিয়ম। অনেক সাধারন কৃষক রিকবারি ঋণের জালে বন্দি হয়েছেন। যাদের নামে রিকবারী ঋণ মঞ্জুর হয়েছে তাদের কোন রশিদ দেওয়া হয়না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। জনতা ব্যাংক মাধবপুর শাখার ব্যবস্থাপক মনোরঞ্জন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ অভিযোগ গুলো সত্য নয়। হবিগঞ্জ জনতা ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রথম পাতা