অবশেষে শুরু হয়েছে ‘পুরাতন খোয়াই’ নদী পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। সোমবার সকাল থেকে শহরের মাছুলিয়া মাহমুদাবাদ এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে দেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রথম দিনেই কমপক্ষে অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় বলে জানা গেছে। এর পুর্বে অভিযান শুরুর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে অনেককেই তাদের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জানান, হবিগঞ্জ শহর ঘেষা পুরাতন খোয়াই নদীর বিশাল ভূমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবনসহ শত-শত অবৈধ স্থাপনা। সচেতন মহলসহ স্থানীয় জনগণ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসলেও দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সীমানা নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সকল অবৈধ স্থাপনা। তবে বেশির ভাগ ভবনই বহুতল হওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রমে সময় কিছুটা বেশি লাগছে। জেলা প্রশাসক আরো জানান, যতদ্রুত সম্ভব পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করা হবে।

এছাড়াও পুরাতন খোয়াই নদীর আড়াই কিলোমিটার এলাকাকে নান্দনিক করাসহ ‘খোয়াই রিভার সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে ১ হাজার ৮৭২ কোটি টাকার যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল তা সংশোধিত হয়ে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পেলে দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি আশাবাদী।

জেলা বাপা’র সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল জানান, দীর্ঘদিন পর হলেও পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করা হচ্ছে এটা আমাদের হবিগঞ্জ বাসির জন্য আনন্দের বিষয়। আমরা পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত এই নদীটি দখলমুক্ত করতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমরা চাই প্রশাসন সফল ভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করবে এবং পুরাতন খোয়াই দখলমুক্ত করে জনগণের চলাচলের জায়গা উন্মুক্ত করবে।