দেড় শতাধিক গ্রামবাসির বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ॥ আটক ৬ ॥ বাহুবলে পুলিশের উপর হামলা করে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে গেল পিতা-পুত্র
তারিখ: ২৩-ফেব্রুয়ারী-২০২০
বাহুবল প্রতিনিধি ॥

বাহুবলে পুলিশের হাত থেকে হ্যান্ডকাপসহ দুই আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে দেড়শতাধিক লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের জাহির মিয়া ও তারই আপন ছোট ভাই কালাম মিয়ার মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি কালাম মিয়ার স্ত্রী নাছিমা বেগম বিভিন্ন অভিযোগ এনে বাসুর ও বাসুরপুত্রের বিরুদ্ধে বাহুবল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এফআইয়ার হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি জাহির মিয়া ও তার ছেলে হৃদয়কে গ্রেফতার করে। কিন্তু গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় আটককৃতদের পরিবারের লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। এ সময় আটককৃত দুই আসামি হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায়। পরে বাহুবল থানার ওসি কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখান থেকে ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতভর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ।

এদিকে, আসামিকে পালাতে সহযোগিতা, পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ এনে গতকাল শনিবার বিকেলে কামাইছড়া পুুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম আহমদ বাদি হয়ে বাহুবল থানায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে দেড়শতাধিক লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ৬ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলো- একই গ্রামের আবু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম (৩৫), রফিক মিয়ার স্ত্রী অলিনা খাতুন (৩২), রফিক মিয়ার বোন জাহানারা খাতুন (২৮), জাহির মিয়ার ছেলে জীবন (১৮), আব্দুর রহিমের ছেলে মনসুর আলম (২০) ও মৃত ছেরাগ আলীর স্ত্রী শহিদা খাতুন (৫০)।

এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম, এএসআই শিতিল ঘোষ, কনষ্টেবল রাজীব পুরকায়স্থ ও মিজানুর রহমান। তারা বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন- দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর তার পরিবারের লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যাওয়া আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।