করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে ৭ দিনের চলমান লকডাউন চলছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনের কারণে বেশী বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এরমধ্যে বাজারগুলোতেও নেই স্বস্থির খবর। শায়েস্তাগঞ্জও তার ব্যতিক্রম নয়।
বিগত কয়েক বছরে শিল্পাঞ্চল এলাকায় পরিণত হওয়া এ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সবজি, মাছ, মাংসে দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এতে সকল পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে গরুর আর খাসির মাংসে। কেজি প্রতি ১০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কিছুটা কমেছে পোল্ট্রি মুরগির দাম। গত কয়েকদিন দিন আগেও ক্রমাগত দাম বাড়লেও সর্বশেষ তিন-চার দিন থেকে কমতে শুরু করেছে পোল্ট্রির দাম। এতে কিছুটা স্বস্থি পাচ্ছেন ক্রেতারা।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১০০০ টাকায়। ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা দরে।
তবে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে আগের দামের চেয়ে ৫-১০ টাকা কমে। বর্তমানে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পোল্ট্রি। ৩০০ টাকা কেজির কক মুরগি বুধবার বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এছাড়াও এক কেজি ওজনের দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে।