বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃত্তম দায়িত্বশীল জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপিকে ধ্বংস করতে দেশি-বিদেশী চক্রান্তকারীরা বার বার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিএনপির বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারেনি। কারণ বিএনপির রাজনীতি মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকার রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে কাজ করা। তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালী ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ আরও বলেন- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অত্যন্ত বিচক্ষণ ছিলেন, দুরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন। বাংলাদেশের সকল মানুষ যাতে বিএনপি করতে পারে সে জন্য তিনি বিএনপিকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে তিনি কৃষকদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন- বিএনপি কৃষক বান্ধব একটি রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষকদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য নিজে কোদাল হাতে নিয়ে খাল খনন করেছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল, কৃষিতে সেচ নিশ্চিত করা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা। গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য সহায়তারও পথ খুলে দিয়েছিল এই খাল খনন কর্মসূচি। তিনি সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন।
জি কে গউছ বলেন- ১৯৯১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর কৃষকদের ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ সুদ সহ মওকুফ করেছিলেন। তিনি কৃষি যন্ত্রপাতি, সার, বীজ ও কৃষি ঋণ পেতে কৃষকদের যাতে হয়রানীর শিকার না হতে হয় সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন।
জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু’র সভাপতিত্বে এবং জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ও আরব আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ রব, মঈন উদ্দিন খান ও এডভোকেট মিজানুর রহমান খোকন, কৃষকদল নেতা আফজাল মিয়া, সাইদুর রহমান সেলিম, আব্দুল কাইয়ুম মেরাজ, হাজী বজলু মিয়া, আশরাফুল আলম সবুজ, হাজী ফজলুল হক সজলু, কামাল খান, আব্দুল হান্নান, শিবাজুল ইসলাম, জামাল মিয়া, জিয়াউর রহমান আলমগীর, মনির তালুকদার, জাহাঙ্গীর মিয়া, আহাদ মিয়া, আলী হোসেন, শাহ আলম, ফরহাদ মিয়া, তাজ উদ্দিন, মিন্টু রায়, হর কুমার দাশ, তাপস রায়, মোফাজ্জল খান, রফিক খান, কামাল মিয়া, আবিদুর রহমান, ফজল মিয়া, সুয়েল খান, এড. মোসাব্বির, আশিষ কুড়ি, বুলবুল চৌধুরী, শাকিল মিয়া, জুলফি খান তিতু, মোক্তাদির হাসান সেবুল, মিজবা উদ্দিন, জজ মিয়া, জামাল হোসেন, রেনু মিয়া, আজিজুল ইসলাম হৃদয়, শিশু মিয়া, মুখলেছুর রহমান সুয়েল, নজরুল ইসলাম, নুরুল আমান শাহজাহান, ফারুক মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, আতিকুল কবির, মনজুর রহমান সুয়েল, মামুন মিয়া প্রমুখ।