বাহুবল উপজেলার লামাতাসি ইউনিয়নের যমুনাবাদ গ্রামে মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই মোবাইল চোরকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম ও অগ্নি (৩য় পাতায় দেখুন) সংযোগ করেছে জনতা। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার উপজেলার লামাতাসি ইউনিয়নের যমুনাবাদ (৬নং ওয়ার্ড) গ্রামের আব্দুল কাইয়ূম মিয়ার বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনার পরদিন রবিবার সন্দেহভাজন চোর হিসেবে একই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের কিম্মত আলীর ছেলে সাহিদুলকে আটক করে ¯’ানীয় জনতা। এ সময় তাকে উত্ত্যম-মধ্যম দিলে তার সহযোগি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের বনদক্ষিন গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে জায়েদ মিয়া মোবাইল চুরির সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানায়। পরে সাহিদুলের কথানুযায়ী স্থানীয় কটিয়াদি বাজার থেকে জায়েদ মিয়াকে আটক করে যমুনাবাদে নিয়ে যান জনতা। এক পর্যায়ে তাকে উত্ত্যম-মধ্যম দেয়া হয়। এ সময় সে মোবাইল চুরির সাথে জড়িত নয় বললে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের একাংশ পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ.ক.ম উস্তার মিয়া তালুকদার ঘটনাস্থলে পৌছলে তার কাছে উল্লেখিতরা মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। পরে মুচলেকার মাধ্যমে তাদের পরিবারের লোকজন ও লস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মতিন এবং তারাপাশা গ্রামের বাসিন্দা সাধন মিয়ার জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে আহত অবস্থায় জায়েদ মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন।
এদিকে, জায়েদ মিয়ার শরীরের অগ্নি সংযোগের ঘটনায় একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায় কয়েকজন যুবক তাকে গাছের সাধে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ব্যাপক চিৎকার করে জায়েদ মিয়া। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। চোর সন্দেহে তার শরীরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবী তাদের। অনেকের মতে, মোবাইল চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে পুলিশে দেয়া প্রয়োজন ছিল। তবে তার শরীরে অগ্নি সংযোগ করা একটি জঘন্যতম অপরাধ।
এ ব্যাপারে লামাতাসি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ.ক.ম উস্তার মিয়া তালুকদার বলেন, ‘মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই চোরকে আটক করে জনতা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। পরে অভিভাবক ও ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।