বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার ও বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি কাজী আব্দুল জলিল ঘুরছেন প্রকাশ্যে
তারিখ: ২২-এপ্রিল-২০২৫
স্টাফ রির্পোটার \

বানিয়াচং উপজেলায় ৯ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আবেদনে অভিযুক্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়েরকৃত মামলার আসামী কাজী আব্দুল জলিল প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। তিনি বানিয়াচং উপজেলার ১১ নম্বর মক্রমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের মৃত ছুরত আলীর পুত্র ও শহরের যশোরআব্দা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলে অভিযোগ থাকা সত্বেও তিনি দিব্যি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর এড়িয়ে চলছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতারি তৎপরতা। সা¤প্রতিক সময়ে তিনি জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির কিছু নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রেফতার এড়াতে তিনি সক্রিয়ভাবে এসব দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং একাধিক বৈঠকেও অংশ নিচ্ছেন। যাতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নিরাপদে থাকতে পারেন। কাজী আব্দুল জলিল এক সময় ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মীয় অঙ্গসংগঠন উলামালীগের হবিগঞ্জ জেলা শাখার নেতা। তবে দলের নীতিমালার বাইরে গিয়ে নানা কর্মকন্ডে জড়িয়ে তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়েন। বর্তমানে নিজ অবস্থান রক্ষা এবং আইনের ফাঁকফোকর এড়িয়ে যেতে তিনি জামাত-বিএনপি ঘরানায় রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, ৯ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত অভিযোগে কাজী আব্দুল জলিল ২৩৬ নং অভিযুক্ত এবং শহরের যশোরআব্দা এলাকার মর্তুজ আলীর স্ত্রী মরম চান বাদী হয়ে শহরের সার্কিট হাউজের সামনের রাস্তায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের করা মামলার ৪৭ নং আসামী। এ মামলার প্রধান আসামী হলেন, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম। মামলাটিতে ৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামী করা হয়।

প্রথম পাতা