বানিয়াচঙ্গের দৌলতপুরে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তাদের লোকজনকে হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে গতকাল ২১ এপ্রিল হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের নিকট একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, দৌলতপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন, জিলাই মিয়ার পুত্র মো: সুমন মিয়া ও কোরাই মিয়ার পুত্র মো: সাহিদ মিয়াকে একই গ্রামের মৃত রজব হোসেনের পুত্র হাবিবুর রহমান কনাই ও আব্দুল আজিজের মাধ্যমে একটি চকলেট ফ্যাক্টরীতে কাজ করার ভিসা দিয়ে কিরগিস্থান পাঠানো হয়। কিন্তু কিরগিস্থান যাওয়ার পর তারা যে কোম্পানী বা ফ্যাক্টরীতে কাজ করার কথা ছিল সেই কোম্পানী বা ফ্যাক্টরীর কোন অস্থিত্ব খোঁজে পায়নি। বিষয়টি হাবিবুর রহমান কনাই ও আব্দুল আজিজকে জানানো হলে তারা কিছুদিনের মধ্যে কাজের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানায়। কিন্তু পরবর্তিতে তারা কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে না পারায় আনোয়ার হোসেন, সুমন মিয়া ও সাহিদ মিয়া নিজ খরচে বাংলাদেশে চলে আসেন।
এই বিষয়ে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে একটি সালিশ বিচার অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ বিচারে সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশে আসা যাওয়া, ভিসার মূল্য ও ক্ষতিপূরণ বাবদ বিদেশ ফেরত যাত্রীদেরকে জনপ্রতি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরবর্তি এক মাসের মধ্যে হাবিবুর রহমান কনাই ও আব্দুল আজিজ প্রদান করবেন। কিন্তু সালিশ বিচারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্ধারিত টাকা যথাসময়ে দেওয়ার পূর্বেই হাবিবুর রহমান কনাই এর স্ত্রী রহস্যজনকভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় বিদেশ ফেরত আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই আমির আলী ও চাচা করম আলী, সাহিদ মিয়ার বড় ভাই টেনু মিয়া এবং সুমন মিয়ার পিতা জিলাই মিয়াকে আসামী করা হয়।
আসামীদের পরিবারের অভিযোগ- বিদেশ ফেরত যাত্রীদের টাকা আত্মসাতের জন্যই হাবিবুর রহমান কনাই তার স্ত্রী হত্যা মামলায় তাদেরকে আসামী করেছেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুপক কান্তি চৌধুরী নিরপেক্ষ কোনো স্বাক্ষি গ্রহন না করেই বাদীর মাধ্যমে ভষিভুত হয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। তাই একটি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃতঘটনা উদঘাটন করতে পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেন বিদেশ ফেরত আনোয়ার হোসেনের বোন শেফালী আক্তার।