অবৈধ বিদেশি সিগারেটে সয়লাব হবিগঞ্জ সিন্ডিকেট করে রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত দাম
তারিখ: ২৩-জুন-২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার \

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও হবিগঞ্জ জেলা জুড়ে থামছে না চোরাচালান। বিভিন্ন ধরণের চোরাচালান পণ্যের সঙ্গে আসছে বিদেশি ব্রান্ডের সিগারেট। সম্পতি বাজেটে তিন স্তরের সিগারেটের ওপরে সরকার সম্পূরক শুল্ক না বাড়ালেও তামাকজাত পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে সিগারেট নিয়ে আসছে। পরে সেগুলো বাজারে প্রশাসনের নাগের ডগায় প্রকাশ্যে বিক্রি হলেও নীরব ভূমিকা পালন করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া কোম্পানীর পক্ষ থেকে এখন অবধি সিগারেটের দাম বৃদ্ধি না করা হলেও হবিগঞ্জের সংশ্লিষ্ঠ ডিলার সিগারেটের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্টক করে রেখেছেন। যে কারণে খুচরা বিক্রেতারা সিগারেট পাচ্ছেন না। ফলে বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেটের দাম শলাকা প্রতি ২ টাকা করে বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে। যে সিগারেট আগে ৫ টাকা ছিলো তা ৮ টাকা, ৮ টাকার সিগারেট ১২ টাকা, ১৫ টাকার সিগারেট ২০ টাকা, ২০ টাকার সিগারেট ২৫ টাকা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল বিষয়ে নজরদারি করা হলেও সর্বোচ্চ ট্যাক্স প্রদানকারী এ পণ্যের অতিরিক্ত দাম রাখার প্রতি নজর নেই। ফলে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন খুচরা বিক্রেতারা।  
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সক্রিয় নজরদারি ও তৎপরতা না থাকার কারণে বিদেশী ও নকল সিগারেট সহজে কেনা বেচা হচ্ছে খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে। কম দামি এসব অবৈধ সিগারেটের বাজারও বেড়ে গেছে। এতে করে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে। অবৈধ পথে আসা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযান জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকাগুলোতে কিছুদিন চোরাচালান বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকাগুলো দিয়ে প্রতিদিন আসছে চোরাইপণ্য আর এসব পণ্যের আড়ালে আসছে বিদেশী ব্রান্ডের সিগারেট। তুলনামূলক কম হওয়ার ফলে ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বর্ডারগাড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল বৃদ্ধি ও চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
সরেজমিনে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে সহজে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানীর সিগারেট ক্রয় করে তাদের দোকানগুলোতে এনে বিক্রি করছেন বিনা বাধায়। আর পাইকারি দোকানগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের পসারের সঙ্গে দুই-চারটি বিদেশি সিগারেটের প্যাকেট রেখে দেন। জেলার বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লার ছোট দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে অবৈধ বিদেশি সিগারেট। ওরিস, মন্ডসহ অবৈধ বিদেশি সিগারেটে সয়লাব হয়ে পড়ছে জেলা।