হবিগঞ্জ-আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ-শিবপাশা ও হবিগঞ্জ-বানিয়াচং বড়বাজার সড়কে চলাচলরত সিএনজি চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সিরিয়াল ফি আদায় এবং চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির (খোয়াই নদীর উত্তর পাড় স্ট্যান্ড) একদল প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বানিয়াচং সিএনজি মালিক সমিতির (রেজিঃ নং- ১০৭৪) সাধারণ সম্পাদক এস. আর. সবুজ গতকাল সোমবার বানিয়াচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উমেদনগর এলাকার আইয়ুব খান ও তাজিম মিয়াসহ তাদের সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট রুটে চলাচলকারী সিএনজি চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছেন। বানিয়াচং সিএনজি মালিক সমিতির নির্ধারিত ফি সিএনজি প্রতি দৈনিক ১০ টাকা হলেও ওই সমিতি প্রতি সিরিয়ালে ২০ টাকা করে আদায় করছে।
এ বিষয়ে পূর্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় উক্ত রুটগুলো উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং সকল পক্ষ সে সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। কিন্তু সম্প্রতি পুনরায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় শুরু করে উক্ত মালিক সমিতি। সিএনজি চালকরা অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হবিগঞ্জ সিএনজি মালিক সমিতি ওই তিনটি রুটে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে হবিগঞ্জ আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ বড়বাজার ও হবিগঞ্জ শিবপাশা রুটে সিএনজি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি এবং শ্রমিক-মালিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে এস. আর. সবুজ আরও উল্লেখ করেন, “বিবাদীরা আমাদের দাবিকৃত বৈধ ফি মেনে নিচ্ছে না। বরং অতিরিক্ত টাকা না দিলে সিএনজির সিরিয়াল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে যেকোনো সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।” সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম জানান, “অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”