টমটমের ভাড়া নিয়ে দ্বন্ধের জের ॥ থানায় অভিযোগ ॥ ব্যক্সের নিন্দা ॥ শহরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ভাংচুর
তারিখ: ১৮-এপ্রিল-২০১৫
স্টাফ রিপোর্টার ॥

যুবলীগ নেতা ও ছাত্রলীগ নেতার বাক-বিতন্ডার জের ধরে শহরে ইনাতাবাদ এলাকার কতিপয় লোকজন ও ছাত্রলীগ কর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বাসা এবং দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শহরের স্টাফ কোয়ার্টার পয়েন্ট থেকে শ্যামলী পর্যন্ত কয়েক দফায় এ হামলা-পাল্টা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাগুলো ঘটে। এসময় পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি তরুর বাসায় ইনাতাবাদ এলাকার লোকজনরা হামলা চালিয়ে তরুর মা, বোন ও ভাইকে আহত করে। এ ঘটনার পরপরই জনৈক কলেজ ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা স্টাফ কোয়ার্টার পয়েন্টে আবার পাল্টা হামলা চালিয়ে ৫টি দোকান ভাংচুর করে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্টাফ কোয়ার্টার পয়েন্টে বৃন্দাবন সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোর্শেদের ভাড়া নিয়ে এক টমটম চালকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় পাশে থাকা জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমীনের বড় ভাই আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমীন বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসলে মোর্শেদের সাথে তার বাক বিতন্ডা হয়।

এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পরে রুহুল আমীনের ছোট ভাই জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমীনের সাথে মোর্শেদের পক্ষে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ ওবায়দুর রহমান তরুর মোবাইলে উত্তপ্ত বাক বিতন্ডা হয়। এ ঘটনার পরপরই নুরুল আমীনের পক্ষে ইনাতাবাদ এলাকার কতিপয় লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তরুর শ্যামলীস্থ বাসায় গিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এসময় হামলা চালিয়ে তরুর বাসাটি ভাংচুর করে। বাসার ভিতরে থাকা এসময় তরুর পিতা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহ সুন্দর আলী, তার মা, বোন ও ভাই পৌর যুবলীগ নেতা শাহ জুবায়দুর রহমান নাজু আহত হয়। হামলাকারীরা নাজুর মোটর সাইকেলটিও ভাংচুর করে দেয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই তরুর পক্ষ নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের জনৈক নেতার নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী স্টাফ কোয়ার্টার পয়েন্টের কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানার ওসি নাজিমউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলগুলোতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ইনাতাবাদ এলাকার কতিপয় লোকজন ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় শহরজুড়ে আতংক বিরাজ করে। বিশেষ করে সিনেমাহল রোড ও স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে দ্বিগি¦দিক ছুটোছুটি করতে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এদিকে, শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দরা। ব্যকসের সভাপতি সৈয়দ তোফায়েল ইসলাম কামাল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুল হুদা এক বিবৃতিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা