জেলা প্রশাসক-পুলিশ সুপারের বরাবরে অভিযোগ ॥ মুরাদপুর ইউপিতে ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরণে ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
তারিখ: ২৪-অক্টোবর-২০১৬
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বানিয়াচং উপজেলার ১৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি চাউল বিতরণে অসাধু ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, অতিদরিদ্র কর্মসূচির অধীনে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বাস্তাবায়নে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মুরাদপুর ইউনিয়নে ১,২,৩,ও ৪নং ওয়ার্ডের জন্য ইউনিয়নের মাখনিয়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার পুত্র কামরুল ইসলামকে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আলী রহমান বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন ও হবিগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, ওই ডিলার চাল বিক্রির জন্য প্রণীত তালিকায় থাকা জালিয়াতি করিয়া অর্থাৎ তালিকায় থাকা নাম মুছিয়া তাহার আত্মীয় স্বজনদের নাম অন্তুরভূক্ত করে চাল বিক্রি করিয়া আসতেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তালিকার ৪নং, ৫৬নং, ৫৮নং, ১৩০নং, ১৮৭নং, ২৮৯নং ক্রমিকের প্রকৃত তালিকার নাম মুছে ফেলে ডিলার কামরুল তার আত্মীয় স্বজন ও পছন্দের লোকদের নাম অন্তর্ভূক্ত করে। এছাড়াও ডিলার ক্রমিক নং ৫৬, ও ৯০নং ক্রমিকে অবৈধ ভাবে চাল বিতরণ করে। এদিকে, ১নং ওয়ার্ডের বেলু মিয়া, ২নং ওয়ার্ডের ৮৬নং ক্রমিকের অনুরা বেগম, ৩নং ওয়ার্ডের ১৩৬নং ক্রমিকের আলামিন মিয়া, ১৪৭নং ক্রমিকের সিরাজ মিয়া, ১৫৭নং ক্রমিকের সায়েরা বিবি, ১৭১নং ক্রমিকে মুতি রহমান, ১৭৫নং ক্রমিকে রেজু মিয়া, ২নং ওয়ার্ডের ৭০ নং ক্রমিকের ফুরকান উল্লাহ, ৭৩নং ক্রমিকে আনজু মিয়াসহ আরও দরিদ্রদের নিকট ডিলার চাল বিক্রি না করে উৎকোচের বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। উক্ত অভিযোগে ভোক্তভুগীরা ১৪নং মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মধু মিয়া তালুকদার, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য জামাল চৌধুরী, মহিলা সদস্য শাহানারা আক্তার ও আমাকে অবগত করলে আমি উক্ত অভিযোগ সমুহের বিষয় যাচাই করিয়া অভিযোগের সত্যতা পাই। তাই আমি ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য আলী রহমান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের পরামর্শে অভিযোগটি দায়ের করি। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানিয়েছেন ভোক্তভূগীরা।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা