হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচঙ্গ-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন ব্যারিস্টার এনামুল হক। গতকাল শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন-স্কুল জীবন থেকে নিজেকে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ছাত্র জীবনের পুরোটাই ছাত্র রাজনীতির প্রথম কাতারের একজন সৈনিক হিসেবে সামরিক জান্তার স্বৈরাশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র হিসেবে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আদর্শকে ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে এবং আইনপেশায় সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। জাতির জনকের সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর সংগ্রামে তিনি দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে সংগঠনের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে আসছেন। বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের অহংকার সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার হাতকে শক্তিশালী করা এবং নিজ এলাকা বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জের (হবিগঞ্জ-২) সংসদীয় আসনের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য তিনি দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। তিনি আরো বলেন-আপনারা জানেন সৎ, সুশিক্ষিত, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক জনগণের বন্ধু এবং তাদের কাছ থেকে জাতির প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার সুবাদে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের জনগণের সাথে একাত্ব হয়ে তাদের সমস্যা সমাধানে সমর্থন ও সহযোগীতা করে আসছি। স্বাভাবিকভাবেই আমার নিকট তাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। বিচারক পদে চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে পুণরায় ফেরত এসে জনগণের সেবা করার মহান ইচ্ছা আমার মধ্যে সব সময় কাজ করে। আার এলাকার জনসাধারণ সার্বক্ষনিকভাবে আমাকে সমর্থন দিয়ে আসছে। যার জন্য তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করার জন্য আমি দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় শোক দিবসের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার পোস্টার ব্যানার হাট বাজার অফিস, আদালতে শোভা পাচ্ছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার এলাকার জনগণের কাছ থেকে যেভাবে সাড়া ও সমর্থন পেয়েছি আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ পাব। সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি বলেন-২০০২ সালে আমি ব্যারিস্টার-এট-ল ডিগ্রী অর্জনের জন্য সরকারী ছুটি নিয়ে আমি যুক্তরাজ্যে চলে যাই। ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে পুণরায় এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রী অর্জন করি। ২০০৭ সালে অনারেবল সোসাইটি অব লিংকনস্ ইন থেকে ব্যারিষ্টার-এট-ল ডিগ্রী অর্জন করি এবং ২০০৮ সালে বিচারক পদের চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়ে পুণরায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করি এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির কার্যক্রমে আবারও সক্রিয় হন। ২০১১ সালে আমি সলিসিটর অব ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস্ এর সনদ প্রাপ্ত হই। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি হিসাবে আইনপেশায় নিয়োজিত আছেন সেই সাথে এলাকার জনসাধারণের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তিনি সহযোগীতা করে আসছেন। তিনি বলেন- ইতোমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় শোক দিবসের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন হাট বাজার অফিস, আদালত প্রাঙ্গণে পোষ্টার ব্যানার লাগানো হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার এলাকার জনগণের কাছ থেকে যেভাবে সাড়া ও সমর্থন পেয়েছি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ পাব।