হবিগঞ্জে টমটম মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
তারিখ: ১২-অক্টোবর-২০১৭
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

হবিগঞ্জ জেলা টমটম (ইজিবাইক) মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। সংগঠনের সভাপতি এনএম ফজলে রাব্বী রাসেলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ নূরুল আমীন ভূইয়ার পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাই চৌধুরী, মনিরুল আলম বাছির, সাইফুদ্দিন জাবেদ, সিজিল মিয়া, উজ্জল আহমেদ, শাহীন মিয়া, সামছু মিয়া, আমজাদ হোসেন প্রমূখ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি অ্যাডভোকেট আবু জাহির বলেন-টমটম শ্রমিকদের সকল আইন মেনে চলাচল করতে হবে। শহরের কোথায় যানজট সৃষ্টি করা যাবে না। তিনি বলেন-কোন টমটম শ্রমিকদের ট্রাফিক পুলিশ অহেতুক ভাবে হয়রানী করতে পারবে না। যদি অহেতুক ভাবে কোন ট্রাফিক সার্জেন্ট হয়রানী করে তাহলে তাৎক্ষনিক আমাকে জানাবেন। আমি এ বিষয়টি দেখবো। সভায় শ্রমিকরা টমটম ভাড়া বৃদ্ধির কথা বললে এমপি আবু জাহির বলেন-সবকিছু দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। টমটম ভাড়াও বাড়তে পারে। তবে জনগণের উপর যাতে প্রভাব না পড়ে, সে দিক লক্ষ্য রেখেই সকলের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া বাড়াতে হবে। সভায় এমপি আবু জাহিরকে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলে টমটম পরিবহনকে জনপ্রিয় যানবাহন হিসেবে জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কোথায় যথযথ টমটম পার্কিং ও অভারটেক করে যানজট সৃষ্টি না করার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন-টমটম মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ উদ্যোগে প্রতিটি পয়েন্টে চেকার নিয়োগ করে শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে হবে। টমটম পরিহনের মাধ্যমে সমাজে অর্ধ শিক্ষিত যুবকদের বেকারত্ব দুর হয়েছে। এ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠিত। আমি মনে করি তাদের নেতৃত্বে শৃঙ্খলা মত শ্রমিকরা চলবেন। সভায় টমটম শ্রমিকরা বলেন-বিভিন্ন সময় ট্রাফিক সার্জেন্টসহ পুলিশ শ্রমিকদের অহেতুক ভাবে টমটম আটক করে হয়রানী করেন। পরবর্তীতে শ্রমিকরা উৎকোচ দিয়ে টমটম পরিবহন ছাড়িয়ে আনতে হয়। আমরা ট্রাফিক পুলিশের নির্যাতন বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। শ্রমিকরা আরো বলেন-বর্তমান যে ভাড়া শ্রমিক নিচ্ছেন তা দিয়ে তাদের সংসার চালানো খুবই কঠিন। তাই শহরের টমটম ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য নেতৃবৃন্দের দাবি জানান। সভায় সংগঠনের সভাপতি এনএম ফজলে রাব্বী রাসেল বলেন-আমি মালিক শ্রমিকদের সুখে দুঃখে সময় পাশে আছি এবং ভবিষ্যতে পাশে থাকবো। মালিক শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সকলকে সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবো। তিনি ভাড়া বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে পৌর মেয়রসহ হবিগঞ্জের সুশীল সমাজের সাথে আলোচনা করবো। তাদের পরামর্শ অনুযায়ীই ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন ভূইয়া বলেন-২১ নভেম্বর ২০১৬ ইং থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই মালিক শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো আদায় করার লক্ষে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে বিভিন্ন সময় নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেও মালিক-শ্রমিকদের পাশে রয়েছি এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবো। তিনি বলেন-ট্রাফিকরা যদি আর কোন ধরণের মালিক-শ্রমিকদের উপর অন্যায় নির্যাতন করেন তাহলে অর্নিদিষ্টকালে অবরোধ দিয়ে হবিগঞ্জ জেলাকে অচল করে দেয়া হবে। তবে শ্রমিকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাই চৌধুরী বলেন-আর কোন টমটম মালিক শ্রমিকদের উপর ট্রাফিক পুলিশের নির্যাতন ও নিপীড়ন নেমে নেয়া হবে না। যদি কোন মালিক শ্রমিককে ট্রাফিক পুলিশ অহেতুক ভাবে নির্যাতন করেন তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে এর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।

প্রথম পাতা
শেষ পাতা